এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য সভাপতি হিসাবে কি দিলীপ ঘোষ অপসারিত হবেন? কি বলছে বিজেপির অন্দরমহল?

রাজ্য সভাপতি হিসাবে কি দিলীপ ঘোষ অপসারিত হবেন? কি বলছে বিজেপির অন্দরমহল?


বেশ কিছুদিন আগে পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যেত রাজ্য-সভাপতি পরিবর্তনের গল্প। কিন্তু দিল্লিতে অমিত শাহের মহা বৈঠকের পরেই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন সর্বভারতীয় নেতৃত্ত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে রাজ্য থেকে জেলা কোন স্তরেই কোন নেতৃত্ত্বের বদল হচ্ছে না – ফলে আপাতত রাজ্য সভাপতি থেকেই যাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে – ৬, মুরলীধর সেন লেনে ঘোরাফেরা করলে ভেসে আসছে বিভিন্ন কথা। কেউ জানাচ্ছেন, বঙ্গ-বিজেপির ইতিহাসের দিকে তাকালে দিলীপ ঘোষের আমলেই এসেছে সব থেকে বেশি সাফল্য। রাজ্য সভাপতি হিসাবে তিনি নিজে জিতে বিধানসভায় গেছেন – এমনকি তাঁর আমলেই সবথেকে বেশি ৩ জন বিধায়ক পেয়েছে বিজেপি।

অন্যদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন নির্বাচনের দিকে তাকালে দেখা যাবে লাফিয়ে লাফিয়ে হয়েছে ভোট বৃদ্ধি। এমনকি, দিলীপ ঘোষের আমলেই বামফ্রন্ট বা কংগ্রেসকে টপকে বিজেপি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়ে গেছে। তার থেকেও বড় কথা, এই প্রথম রাজ্যে গেরুয়া শিবির ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে – আর তাই সব মিলিয়ে তাঁর পারফর্মেন্সে সঙ্ঘ অতিশয় খুশি। এহেন পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষকে সরানোর প্রশ্নটাই বা উঠছে কেন? কিন্তু, আরেক দলের কথা অনুযায়ী – দিলীপবাবু মাঝে মাঝে বিভিন্ন জনসভায় বা সাংবাদিক বৈঠকে ‘মারামারির’ কথা তুলছেন, যা খাতায় আসার স্বপ্ন দেখা একটি দলের ‘ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত’ করছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু, তারও পাল্টা কথা শোনা যাচ্ছে দলের অন্দরেই। ওই অংশের মতামত , দিলীপবাবু নিজে থেকে কোনো সময় মারার প্ররোচনা দেন নি, যদি তাই হত তাহলে তো প্রশাসন ব্যবস্থা নিত। আসলে, উনি সবসময়েই ‘আত্মরক্ষার’ কথা বলেছেন দলীয় কর্মীদের। কাউকে মারা বা আত্মরক্ষা কিন্তু এক নয়! আর দিলীপবাবুর আসেন কথায় মনোবল বেড়েছে দলীয় কর্মীদের, বিশেষ করে নাকি, দলের তরুণ প্রজন্ম দিলীপবাবুর এহেন কথায় রীতিমত উদ্দীপ্ত। সবথেকে বড় কথা, বিরোধী দলে থেকে দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা রাখা সবসময়েই কঠিন – সেই জায়গায় বর্তমানে শাসকদলের কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের উপর যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় ‘সন্ত্রাস’ চালাচ্ছে – তাতে, দিলীপবাবুর এইসব মন্তব্য দলীয় কর্মীদের ঐক্য আরও অটুট করছে।

ওই অংশের আরও মত, দিলীপবাবুর নাম এই যে একটা ‘নেগেটিভ অ্যাটিচুড’ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে – তার পিছনে মিডিয়ার একটি অংশের কারাজি আছে। মিডিয়ার ওই অংশকে নাকি বিশেষ একটি দল প্রভাবিত করে – দিলীপবাবুর বক্তব্যের পুরো অংশ না দেখিয়ে, বিশেষ বিশেষ অংশ দেখাচ্ছে। আর তারফলেই সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। উদাহরণ স্বরূপ তাঁদের দাবি, গত ৩০ শে অক্টোবর শহীদ মিনারের পাদদেশে শিক্ষকদের আন্দোলনের মঞ্চে নিজের বক্তব্য রাখেন দিলীপবাবু। শ্রোতা সকলেই শিক্ষক মানুষ – কিন্তু দিলীপবাবুর মার্জিত ভাষণের পর হাততালির ঝড় বয়ে যায়, দিলীপবাবুর বক্তব্য যে শিক্ষিত মহল গ্রহণ করছেন – সেটা সহজেই অনুমান।

অন্যদিকে, বিজেপির অন্দরের আরেকটি মহল যাঁরা বয়সে প্রবীণ ও অভিজ্ঞ তাঁদের পর্যবেক্ষন আবার সম্পূর্ণ অন্য। তাঁদের মতে -টেকনিক্যালি দিলীপবাবুর ‘টার্ম’ শেষ হচ্ছে ডিসেম্বর মাসে। যেহেতু দিলীপবাবুর গায়ে কোনও দুর্নীতির দাগ নেই, তাই তাঁকে ‘টার্মের’ আগে সরানো হবে না কিছুতেই। অন্যদিকে, সেই সময়ে বিজেপি ব্যস্ত থাকবে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ যাত্রা নিয়ে, যা শেষ হতে হতে জানুয়ারির শেষ। আর তারপরেই লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। সুতরাং সেই মাহেন্দ্রক্ষণে – একজন কাউকে নতুন সভাপতি করা হলে তাঁর সংগঠনের সঙ্গে সর্গের হতে হতেই লোকসভা নির্বাচন পেরিয়ে যাবে – সুতরাং কোনো অবস্থাতেই দিলীপবাবুকে এখন রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সারানোর কোনো প্রশ্নই নেই – তিনি থেকে যাচ্ছেন স্বমহিমাতেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!