প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  খাগড়াগড় থেকে শুরু করে কলকাতা, নানা সময় নানা জায়গার অপরাধমূলক প্রবণতা সামনে এসেছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। পাল্টা পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে শক্ত হাতে রাজ্যের অপরাধ প্রবণতা এবং দুষ্কৃতীদের কারবার বন্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও অপরাধপ্রবণতার সংখ্যা কমছে না বাংলায়। যেখানে শহরের শান্ত আবাসনগুলোতে দুষ্কৃতীদের অবাধ কারবার সবথেকে বেশি চিন্তা করার চেয়ে রাজ্যবাসীর। শান্তির আড়ালে এইভাবে চক্রান্তকারীদের ফাঁদ নানা অশান্তির ইন্ধন যোগাতে শুরু করেছে। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে শহর এবং রাজ্যবাসীর।

তদন্তকারীদের একাংশ বলছেন, অপরাধকারীরা শান্ত জায়গাকেই তাদের চক্রান্তের অন্যতম পীঠস্থান হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে জনবহুল জায়গায় তাদের কাজ করতে অনেকটাই অসুবিধা হয়। তাই চক্রান্তের তথ্য যাতে বাইরে ফাঁস না হয়ে যায়, তার জন্য শান্ত আবাসনগুলোকে বেছে নিয়ে সেখানে নিজেদের রণনীতি স্থাপন করেছেন তারা।

স্বাভাবিক ভাবেই এই আবাসনগুলো এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, “এই শহরে বড় বড় তিনটি স্টেশন রয়েছে। যেগুলোর সঙ্গে ভিন রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো। শহর থেকে মাত্র তিন ঘন্টা দূরত্ব আন্তর্জাতিক সীমান্ত।” অর্থাৎ আবাসন এবং শান্ত জায়গাগুলো এখন সবথেকে বেশি চিন্তার কারণ গোয়েন্দাদের কাছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজ্যের বুকে বহু অপরাধমূলক ঘটনা সামনে আসতে শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বড় বড় চক্রান্তের জাল বুনে অপরাধীরা ভয়াবহ বিস্ফোরণের মত ঘটনাও ঘটাতে পিছপা হবেন না। আর এই সমস্ত বিষয়ই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে।

অতীতের মত ভবিষ্যতেও যদি আবার বোমা বিস্ফোরণ বা অন্য কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলে রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে যাবে, তাই এখন থেকেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তৎপর প্রশাসন। শান্ত বা নিরিবিলি জায়গার আড়ালে কোনো চক্রান্তের জাল বোনা হচ্ছে কিনা, তার রহস্য উন্মোচন করতে সদা ব্যস্ত গোয়েন্দারা। স্বভাবতই গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।