এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > এবার বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে কাটমানির বিস্ফোরক অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির প্রভাবশালী নেতার নামে!

এবার বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে কাটমানির বিস্ফোরক অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির প্রভাবশালী নেতার নামে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করতে শুরু করেছেন একাধিক বিজেপি নেতা। সদ্য শুভেন্দু অধিকারী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার পর থেকেই আমপান থেকে শুরু করে নানা ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস কত দুর্নীতি করেছে, তার তালিকা তিনি সময় মত প্রকাশ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে শাসকদলের অস্বস্তি যখন বাড়তে শুরু করেছে, ঠিক তখনই বড়সড় দুর্নীতির ঘটনায় নাম জড়িয়ে পড়ল এক বিজেপি নেতার।

সূত্রের খবর, আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে হরিশচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা বিজেপি নেতা লালু ওরাওয়ের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে সেই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকার বাসিন্দা উর্মিলা ওরাও। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাজুড়ে। এতদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করত বিজেপি। কিন্তু এবার যেভাবে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করল, তাতে ভারতীয় জনতা পার্টি এখানে যে ব্যাপক চাপে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিন এই প্রসঙ্গে অভিযোগকারী উর্মিলা ওরাও বলেন, “ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লালু ওরাও তিন কিস্তিতে মোট কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, টাকা না দিলে ঘর পাওয়া যাবে না। কিন্তু আমি ঘর পাইনি। আমার স্বামী বাইরে মজুরের কাজ করে। তাই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। যাতে টাকা ফেরত পাই। বিডিও সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।” এদিকে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এই রকম দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমত ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গোটা ঘটনাকে হাতিয়ার করে এখন ভারতীয় জনতা পার্টিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেছে তারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাস বলেন, “জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে বিধবা ভাতার কাগজপত্র, সবেতেই এরা কাটমানি নিচ্ছে। এটা কোনো নতুন ঘটনা নয়। ক্ষমতায় না আসতেই যদি কাটমানি নেওয়া শুরু করে, তাহলে ক্ষমতায় এলে কি হবে!” এখানেই একাংশের প্রশ্ন, সত্যিই তো তাই! যে বিজেপির পক্ষ থেকে এতদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছিল, সেই বিজেপির এক নেতা এভাবে দুর্নীতিতে বিদ্ধ হলেন কেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির অন্যতম নেতা কিষান কেডিয়া বলেন, “এই ব্যাপারে কোনো কিছু শুনিনি। অভিযোগ সত্য হলে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করবার জন্য এটা ওদের চক্রান্ত হতে পারে।” এদিকে যাকে নিয়ে এত বিতর্ক, সেই লালু ওরাও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত করে এসব রটানো হচ্ছে। প্রশাসন তদন্ত করলেই সত্য প্রকাশিত হবে।” তবে যে যাই বলুন না কেন, নির্বাচনের আগে যেভাবে এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করল, তাতে গেরুয়া শিবির অনেকটাই ব্যাকফুটে পড়ে গেল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তবে শেষ পর্যন্ত তদন্তে কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!