এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বেঁধে দেওয়া হলো টার্গেট- পদ বাঁচাতে মরিয়া বিজেপি নেতারা

বেঁধে দেওয়া হলো টার্গেট- পদ বাঁচাতে মরিয়া বিজেপি নেতারা


বেশ কিছুদিন ধরেই সারা দেশজুড়ে চলছে বিজেপির সদস্যতা অভিযান। তবে বিজেপি তাদের এই সদস্যতা অভিযানে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে পাখির চোখ করা বাংলায় যাতে ব্যাপক সাফল্য পাওয়া যায়, তার জন্য ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক মানুষকে নিজেদের সদস্য করাতে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন জেলা নেতৃত্বরাও এই ব্যাপার মাঠে নেমে কাজ করতে শুরু করেছে।

জানা গেছে, জলপাইগুড়ি জেলায় এবার বিজেপি 5 লক্ষ সদস্য জোগাড়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য জোর মাত্রায় কাজ চলছে। কিন্তু এবার জলপাইগুড়ি বিজেপির কৃষক সংগঠনের নেতাদের কাছে এই সদস্য সংগ্রহ অভিযানের জন্য এক নতুন নির্দেশিকা আসতেই রীতিমতো কপালে ঘাম ফুটতে শুরু করল তাদের।

সূত্রের খবর, গত 10 আগস্ট জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির কৃষক সংগঠনের নেতাদের বিজেপির পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, সংগঠনের পদ রক্ষা করতে চাইলে 100 জন সদস্য সংগ্রহ করুন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, বিজেপির জলপাইগুড়ি কৃষক সংগঠনের জেলা কমিটিতে মোট 13 জন পদাধিকারী রয়েছেন। দলের 9 টি মন্ডল ও ব্লক কমিটিও রয়েছে। আর প্রতিটি কমিটিতে একজন করে সভাপতি রয়েছে। আর সব মিলিয়ে 21 জনের প্রত্যেককে 100 জন করে সদস্য জোগাড় করতে হবে। আর যদি তা না হয়, তাহলে কোন নেতারই পদ থাকবে না বলে ইতিমধ্যেই তাদের কাছে লিখিত নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন কৃষক সংগঠনের বিজেপির জেলা সভাপতি নবেন্দু সরকার।

আর পৃথক পৃথক ভাবে নেতাদের ওপর 100 জন ব্যক্তির সদস্য সংগ্রহ করার চাপ আসলে এখন কার্যত প্রবল সংকটে সেই জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির কৃষক সংগঠনের পদাধিকারীরা। জানা গেছে, আগামী কুড়ি তারিখের মধ্যে যাদের যাদের সদস্য সংগ্রহ হয়েছে, তাদের নাম এবং ফোন নম্বর জমা দিতে হবে।

কিভাবে একজন 100 জন সদস্য জোগাড় করবেন, এখন তা নিয়েই চিন্তার শেষ নেই কৃষক সংগঠনের নেতাদের। কিন্তু কেন এভাবে একজন পদাধিকারীকে 100 জন সদস্য জোগাড় করতে বলা হচ্ছে! গেরুয়া শিবিরের একাংশের দাবি, রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় 20 হাজার সদস্য সংখ্যার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু জেলা কমিটি সেই লক্ষ্য বাড়িয়ে 50 হাজার করেছে। আর এতেই জেলার ওপর চাপ বেড়েছে। আর জেলা নেতৃত্ব এবার এই ব্যাপারে নেতাদের ওপর পৃথক পৃথকভাবে দায়িত্ব ভাগ করে দিতে শুরু করেছে। এদিন এই ব্যাপারে নিজেদের ক্ষোভ আটকাতে না পেরে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির এক কৃষক নেতা বলেন, “দলগতভাবে অনেকজনকে সদস্য করেছি। এখন আবার বলছে ব্যক্তিগতভাবে সদস্য যোগার না করলে দলের পদে রাখবে না। পদটাই বুঝি রাখা যাবে না।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির কৃষক সংগঠনের সভাপতি নবেন্দু সরকার বলেন, “জলপাইগুড়ির আসন আমরা প্রায় 2 লাখ ভোটে জিতেছি। সেই কারণে সদস্য জোগাড়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। আমি নিজেও বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে রাতে থেকে সদস্য জোগাড় করছি। সকলকেই তাই করতে হবে।”

সব মিলিয়ে এবার পৃথক পৃথকভাবে একজন নেতার ওপর 100 জন সদস্য জোগাড়ের দায়িত্ব পড়লে এবং সেই দায়িত্ব পালন না করলে পদ যে চলে যাবে, সেই নির্দেশিকা আসায় এখন জলপাইগুড়ি জেলার কৃষক সংগঠনের নেতারা ঠিক কতটা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!