এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপির পুরোনো কর্মীদের জন্য সুখবর, জেনে নিন

বিজেপির পুরোনো কর্মীদের জন্য সুখবর, জেনে নিন


লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি ভালো ফলাফল করার পরই দিকে দিকে তৃণমূল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেন। যার ফলে বিজেপি বহরে বাড়তে শুরু করলেও দলে অনেক বেনোজল ঢুকছে বলে সোচ্চার হয়েছিলেন আদি বিজেপি নেতা কর্মীরা।

সম্প্রতি দু’দিনব্যাপী রাজ্য বিজেপির চিন্তন বৈঠক শেষ হয়েছে। যেখানে বিজেপিতে আসবার জন্য সকলের দরজা খোলা রয়েছে বলে জানিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু দীলিপবাবু এই মন্তব্য করলেও দলে যারা নতুন এসেছেন, তাদের এখনই ভরসা করতে রাজি নয় বিজেপি নেতৃত্ব বলে দাবি করতে শুরু করেছেন বিজেপির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা।

সূত্রের খবর, অন্তত তিন বছরের পুরনো সদস্য না হলে সংগঠনের কাউকে কোনো পদে রাখা যাবে না বলে ইতিমধ্যেই নাকি জলপাইগুড়ি জেলা কমিটিকে নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। আর এর জন্য যারা দলের পুরোনো সদস্য তাদের নম্বরের শুরুতে এক অথবা দুই এবং যে কর্মীদের পার্টি পরিচয়পত্রে নম্বর 3 দিয়ে শুরু হবে, তাদের নতুন দলে আসা হিসেবে চিহ্নিত করে কোনো জায়গা দেবে না বিজেপি বলে জানানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে দলের তরফে এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ গেরুয়া শিবিরের নেতারা। অনেকে বলছেন, পদের লোভে অনেকেই বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছেন। কিন্তু সেই লোভ যাতে সকলে সংবোরন করেন, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এমনকি জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি নেতৃত্বকে ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্ব নাকি নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে যে, যারা দলে আসতে চাইছেন, তাদের প্রথমেই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে হবে যে, এখন তারা কোনোপ্রকার পদ পাবেন না। কিন্তু তাহলে ঠিক কাদের পদ দেওয়া হবে!

সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি জেলায় পুরনো কর্মীদের মধ্যে থেকেই পদাধিকার খোঁজবার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংঘ ঘনিষ্ঠ দুই নেতা তথা জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি গোস্বামী এবং জেলা কমিটির নেতা জয়ন্ত চক্রবর্তীকে। মূলত কোন কোন কর্মী পদ পাবেন, তাদের সব তালিকা তৈরি করে তা এই দুই নেতাই রাজ্য নেতৃত্বকে পাঠাবেন। আর সেই তালিকাই রাজ্য থেকে অনুমোদন নিয়ে জেলায় আসবে।

তবে এই ব্যাপারে বাপীবাবু এবং জয়ন্তবাবু মুখ না খুললেও আগামী 20 আগস্ট সদস্য সংগ্রহ অভিযান শেষ হওয়ার পরই জেলায় কারা পদ পাবেন, সেই তালিকা রাজ্যে পাঠানো হতে পারে বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে নতুনরা দলে প্রবেশের সাথে সাথেই তাদেরকে পদ দিয়ে যাতে গাছে তুলে দেওয়া না হয়, তার জন্য এবার পুরনো কর্মীদের ওপর ভরসা রেখেই নতুনদের সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছে গেরুয়া শিবির বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!