এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপিকে ঠেকাতে কি মমতার ভরসা সিপিএম? নয়া মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা!

বিজেপিকে ঠেকাতে কি মমতার ভরসা সিপিএম? নয়া মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক আসনে বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পরেই বামের ভোট রামে গিয়েছে বলে অভিযোগ করতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমনকি সিপিএম তাদের ভোট নিজেদের দিকে রাখলে এই অবস্থা হতো না বলেও অনেক সভা থেকে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন তৃণমূল নেত্রী। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির উত্থান ক্রমশ বাড়ছে।

আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে চাপে ফেলতে বিজেপি বিরোধী দল অর্থাৎ বাম থেকে শুরু করে কংগ্রেসের ভোট নিজেদের দিকেই রাখার কথা বারেবারে বলে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে এই রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেদের ভোট নিজেদের দিকে রাখতে সক্ষম হয়, তাহলে বিজেপি অনেকটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবে।

আর এবার বাংলায় বিজেপি যখন তৃণমূলের ঘর ভাঙতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হেভিওয়েট সিপিএম নেতা মানিক সরকারের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই সিপিএম নেতার বক্তব্যকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিজেপি বিরোধী মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের নিয়ে একটি সম্মেলন করা হয়। আর সেখানেই সম্প্রতি রাজ্যে আসা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বক্তব্যের কথা তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মানিকবাবু বলে গিয়েছেন, যান গিয়ে দেখে আসুন, বিজেপি কি হাল করেছে ত্রিপুরার। 10 হাজার শিক্ষকের চাকরি পাকা হবে কথা দিয়েছিল। চাকরিটাই চলে গিয়েছে। আপনাদের সামনে বিপদ। কি বিপদ, সারাদেশের মানুষ বুঝতে পারছে। ত্রিপুরায় বাঙ্গালীদের গিয়ে জিজ্ঞাসা করে এসো। বাঙালি নমশূদ্র মানুষ, গরিব মানুষ। আগে বলত, সিপিএম আসিয়া ত্রিপুরা দিল ভাসাইয়া। আর আজ বলছে, বিজেপি আসিয়া দিল ভাসাইয়া।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, হঠাৎ করেই কেন হেভিওয়েট সিপিএম নেতার বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে আক্রমণ করতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে? তাহলে কি এবার গেরুয়া শিবিরকে ঠেকাতে গেরুয়া শিবিরের শরনাপন্ন তৃণমূল নেত্রী! পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে শুরু করেছেন, বিজেপির চাপ তার কাছে খুব একটা সহজ নয়। যেভাবে বিজেপি চাপ বাড়াচ্ছে, তাতে তৃণমূলের পক্ষে গোটা অবস্থাকে সামাল দেওয়া অত্যন্ত কঠিন। সেদিক থেকে বিজেপিকে কটাক্ষ করে সিপিএম নেতার এই বক্তব্য সমর্থন নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, তৃনমূলের ঘর বর্তমানে ভাঙতে শুরু করেছে বিজেপি। বিভিন্ন সভা থেকে তৃনমূলের অনেক হেভিওয়েট যোগ দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরে। ভবিষ্যতে এই ভাঙ্গন অব্যাহত থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। আর এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিজেপি বিরোধী মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হাতিয়ার হয়ে দাঁড়াল। অর্থাৎ এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরার বিজেপির অবস্থান তুলে ধরে বাংলায় যাতে বিজেপি কোনভাবেই না আসে, সেকথা বোঝানোর চেষ্টা করলেন।

তবে অনেকে আবার কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন, যে বাম বিরোধিতার মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন হয়েছিল, সেই বামেদের এখন শরণাপন্ন হতে হচ্ছে তৃণমূলকে। সত্যিই অদৃষ্টের নিষ্ঠুর পরিহাস! একসময় বিজেপির হাত ধরে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এখন সেই বিজেপিকে আটকানোর জন্য তৃণমূল নেত্রী এইভাবে বাম নেতার বক্তব্যকে হাতিয়ার করায় গুঞ্জন ক্রমশ বাড়ছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!