এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অস্ত্র CAG রিপোর্ট! GST বাবদ মোদী সরকার ৪৭ হাজার কোটি টাকা ‘চেপে’ যাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন মমতা

অস্ত্র CAG রিপোর্ট! GST বাবদ মোদী সরকার ৪৭ হাজার কোটি টাকা ‘চেপে’ যাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন মমতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের দ্বৈরথ নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার নতুন করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করল রাজ্য সরকার। যেখানে জিএসটির টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কার্যত খড়গহস্ত হতে শুরু করলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সম্প্রতি সংসদে পেশ করা একটি রিপোর্টে তথ্য সামনে এসেছে। যেখানে ক্যাগের পক্ষ থেকে সেই তথ্য সামনে আনা হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, রাজ্যগুলোর জন্য বরাদ্দ জিএসটি ক্ষতিপূরণের টাকা রাজকোষে রেখে তা অন্যত্র ব্যয় করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাকে সম্পূর্ণভাবে বেআইনি বলছে একাংশ। আর কেন্দ্রীয় সরকারি তহবিলে সেই টাকা রেখে দেওয়া নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ক্যাগ। জানা গেছে, 2017-18 এবং 2018-19 আর্থিক বর্ষ মিলিয়ে জিএসটি ক্ষতিপূরণের শেষ বাবদ রাজ্যগুলোকে প্রায় 47 হাজার 272 কোটি টাকা কম দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এখানেই ক্যাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর ফলে আর্থিক ঘাটতি কম করে দেখানো হয়েছে। যা সত্যি নয়। এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই তথ্য সামনে চলে আসায় এখন ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমরা ভিক্ষা চাইছি না। জিএসটির ক্ষতিপূরণ নিয়ে কেন্দ্র বিশ্বাসঘাতকতা করছে। মিথ্যে বলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। মোদি সরকার রাজ্যগুলোর সঙ্গে দ্বিচারিতা করা হচ্ছে। একইভাবে টুইটে এই ব্যাপারে কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, “রাজ্যগুলির প্রাপ্য 47 হাজার 971 কোটি টাকা আত্মসাৎ করতে গিয়ে নিজেদের ক্যাগের রিপোর্টে হাতেনাতে ধরা পড়ল মোদি সরকার। জিএসটি আইন ভেঙে টাকা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তহবিলে। কেন? রাজস্ব আদায় ও আর্থিক ঘাটতি নিয়ে আমাদের এবং আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থাগুলোকে ধোকা দিতে। লজ্জাজনক!”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাগের রিপোর্ট সামনে আসার পর এতদিন জিএসটি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছিল, সেই অভিযোগের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গেল। যার ফলে অনেকটাই চাপে পড়ল বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।তবে কি বলা হয়েছে ক্যাগের এই রিপোর্টে?

জানা গেছে, তথ্যে 8, 9 এবং 13 নম্বর স্টেটমেন্ট অনুযায়ী সেস হিসেবে আদায় হওয়া পুরো টাকা রাজ্যগুলোকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, 2017-18 অর্থবর্ষে বাবদ 62 হাজার 613 কোটি টাকা আদায় হলেও, জিএসটি ক্ষতিপূরণ তহবিল গিয়েছে 56 হাজার 146 কোটি টাকা। অন্যদিকে 2018-19 আর্থিক বর্ষে বাজেটে বিশেষ তহবিলের জন্য 90 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও, সেই অর্থবর্ষে সংগ্রহ হয়েছে প্রায় 95 হাজার কোটি টাকা। কিন্তু জিএসটি ক্ষতিপূরণ সেস তহবিলে পাঠানো হয়েছে 54 হাজার 275 কোটি টাকা। আর বাকি টাকা কেন্দ্রীয় ফান্ডে রাখা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে।

একাংশের মতে, জিএসটি ক্ষতিপূরণ সেস আইন মোতাবেক একটি আর্থিক বছরে মোট আদায়কৃত জিএসটি শেষের পুরোটাই ক্ষতিপূরণ সেস তহবিলে জমা করতে হয়। কিন্তু তা না করে 47 হাজার 200 72 কোটি টাকা কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা রাখা হয়েছে। আর তা নিয়েই এখন ক্যাগের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আর কেন্দ্রের জিএসটির সম্পর্কিত তথ্য ক্যাগ প্রকাশ্যে আনায় কেন্দ্রীয় সরকার অনেকটাই চাপে পড়েছে। শুধু তাই নয়, এর ফলে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে বিরোধিতা করতে শুরু করল, তাতে বিজেপি ব্যাপকভাবে বেকায়দায় পড়ল বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!