এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > প্রশাসনের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে এবার অপহৃত প্রভাবশালী বিজেপি নেতা, রয়েছে প্রাণনাশের দুশ্চিন্তাও!

প্রশাসনের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে এবার অপহৃত প্রভাবশালী বিজেপি নেতা, রয়েছে প্রাণনাশের দুশ্চিন্তাও!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উপত্যকায় আবারো জঙ্গী তৎপরতা প্রকাশ পাচ্ছে। আর এবার জঙ্গী নিশানার কেন্দ্রে যে রয়েছে বিজেপির নেতারা তা ক্রমশ সামনে আসছে। গত বছরই কাশ্মীরের ওপর থেকে 370 ধারা এবং 35 এর এ ধারার বিলোপ ঘটিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবং তখন থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের চরম বিরোধিতা করে চলেছে কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদি সংগঠনগুলি। কিছুদিন আগেই বাড়ির সামনেই জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন এলাকার আরেক বিজেপি নেতা এবং তার বাবা ও ভাই। আর এসবের পেছনে পাকিস্তানের হাত দেখছেন অনেকেই।

আর এবার বাড়ি থেকে বেরোনো মাত্রই জঙ্গিদের হাতে অপহৃত হলেন বিজেপি কর্মী মেহেরাজউদ্দিন। ঘটনার ফলে এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি এত তৎপরতার সাথে ঘটে যে কিছু বোঝার আগেই দুষ্কৃতীরা ওই বিজেপি নেতাকে গাড়িতে তুলে চম্পট দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে বারামুলা এলাকায়। যে বিজেপি কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে তিনি লোকাল মিউনিসিপ্যালিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ওয়ার্ড মেম্বার বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ ইতিমধ্যে এলাকাজুড়ে খানাতল্লাশি শুরু করেছে। যদিও পুলিশের হাতে এখনো পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কিছু আসেনি। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই উত্তর কাশ্মীরের বান্ডিপুরা জেলায় বিজেপির রাজ্য কার্যকারী সদস্য তথা প্রাক্তন জেলা প্রধান শেখ ওয়াসিম বারি, তার ভাই উমর সুলতান এবং পিতা বাশির শেখকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় একদল জঙ্গী। উল্লেখ্য, সেইদিন হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। যদিও এই তিন বিজেপি নেতার হত্যার দায় কোন জঙ্গিগোষ্ঠী এখনো স্বীকার করেনি বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে ওয়াসিম বারি এবং তার ভাই ও পিতাকে যখন গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তখন তাঁদের সঙ্গে কোনো সুরক্ষাকর্মী ছিলেন না বলে খবর। আর সে কারণেই সুরক্ষা কর্মীরাও সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। ইতিমধ্যে পুলিশ ওয়াসিমের 10 জন সুরক্ষা কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে এই হত্যার ঘটনা ঘটে তার 10 মিটার দূরেই থানা। কিন্তু তা সত্বেও থানা থেকে কেউ গুলির আওয়াজে ঘটনাস্থলে আসেননি কেন?

অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জঙ্গিরা সাইলেন্সার লাগিয়ে গুলি চালিয়েছিল যে কারণে গুলির কোন আওয়াজ পাওয়া যায়নি। তবে এদিন বিজেপি কর্মীর অপহরণের ঘটনায় পুলিশের দাবি, এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতেই বিজেপি নেতাকে অপহরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে কাশ্মীরে বিজেপি তাঁদের সংগঠন আরো জোরদার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সাথে চলছে জঙ্গি দমন কর্মসূচি। আর সেখানেই আপত্তি জঙ্গী সংগঠনগুলির। হয়তো সে কারণেই একের পর এক বিজেপি নেতা হত্যা ও অপহরণের ঘটনা ঘটছে। তবে ঘটনা পরম্পরায় চিন্তা বাড়ছে ক্রমশ প্রশাসনিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!