এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার সোশ্যাল আড্ডায় খোলামেলা কথা হেভিওয়েট বিজেপি নেতার, নিজের হারের কারণও ব্যাখ্যা করলেন তিনি

এবার সোশ্যাল আড্ডায় খোলামেলা কথা হেভিওয়েট বিজেপি নেতার, নিজের হারের কারণও ব্যাখ্যা করলেন তিনি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এক ঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রী যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ অন্যতম। তবে রুদ্রনীল শুধুমাত্র অভিনয় থেকে যে প্রথম রাজনীতিতে এসে গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করলেন তা নয়, এর আগে রুদ্রনীল সিপিএম-তৃণমূল হয়ে অবশেষে গেরুয়া শিবিরে এসেছেন। এবং গেরুয়া শিবিরে আসার পুরস্কার স্বরূপ তাঁকে দেওয়া হয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ ভবানীপুর থেকে লড়াইয়ের টিকিটের ছাড়পত্র। তবে সেই লড়াইতে বড়সড় হার হয়েছে রুদ্রনীলের। তবে রুদ্রনীলকে ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। সম্প্রতি রুদ্রনীল ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে ভবানীপুরে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল।

আর এবার সবকিছু নিয়ে খোলাখুলি আলোচনায় মাতলেন রুদ্রনীল বাম নাট্যকার সৌরভ পালোধির সাথে। একটি ফেসবুক আড্ডায় অকপট হলেন তিনি। সেখানেই তিনি জানান, বিজেপির যে হার অন্যদের কাছে আনন্দের ব্যাপার, সেই একই হার বিজেপির কাছে ইতিবাচক। এ প্রসঙ্গে রুদ্রনীল 3 টি আসন থেকে 77 হওয়ার কথা বলেছেন। বস্তুত এই মত গেরুয়া শিবিরের অনেকের মুখেই শোনা গেছে। আর সেই আশাবাদী মতই এবার ব্যক্ত করলেন রুদ্র। একই সাথে তিনি সিপিএম শুন্য হয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেন। তাঁর মতে, যারা সিপিএম শেষ হয়ে গিয়েছে বলেন, তাঁরা ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করছেন। একইসাথে ভবানীপুরে রুদ্রনীলের হারের কারণ তিনি নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রুদ্র জানিয়েছেন, তিনি ভবানীপুর আসনে 28 হাজার ভোটে হেরেছিলেন। তার মধ্যে 22 হাজার ভোট শুধুমাত্র সংখ্যালঘুদের হাত ধরে এসেছে। আর এই সংখ্যালঘুরা 77 নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ খিদিরপুরের অধিবাসী বলে জানান রুদ্র। আর এই পরিসংখ্যান দেওয়ার সাথে সাথে রুদ্রনীল ঘোষ দাবি করেছেন ভবানীপুরের মানুষ তাঁকে ঢেলে ভোট দিয়েছেন। প্রসঙ্গত 2016 বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে রুদ্রনীলের। আর সেই ঘনিষ্ঠতা শেষ পর্যন্ত 2021 এ গিয়ে শেষ হয়ে যায় রুদ্র বিজেপিতে যোগ দেওয়ায়।

তবে রুদ্র আশ্বস্ত করেছেন, এখনো পর্যন্ত তাঁর শেষ ঠিকানা যে গেরুয়া শিবির তা নিয়ে। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলের নীতিগত বদল হলেই তাঁরও বদল ঘটে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, রুদ্রনীল কি শেষ পর্যন্ত আবারো তাঁর রঙ বদলের ইঙ্গিত রেখে গেলেন সর্বসমক্ষে? অন্যদিকে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, ভবানীপুরের উপনির্বাচনে রুদ্রনীলকে আবারো লড়াইতে নামাতে পারে গেরুয়া শিবির। সেক্ষেত্রে রুদ্রনীলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ আসতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!