এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহেই নতুন করে রাজ্য জুড়ে শিক্ষক বদলির ধুম, একুশের নির্বাচন ঘিরেই কি এই পদক্ষেপ জল্পনা !

করোনা আবহেই নতুন করে রাজ্য জুড়ে শিক্ষক বদলির ধুম, একুশের নির্বাচন ঘিরেই কি এই পদক্ষেপ জল্পনা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের শিক্ষক বদলি নিয়ে জল্পনা চলছিল রাজ্যজুড়ে। বহুদিন ধরেই বদলি নীতি বন্ধ হয়ে রয়েছে। রাজ্যের বহু শিক্ষক শিক্ষিকা এরফলে পড়েছিলেন বিপাকে। অবশেষে পাকাপাকিভাবে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে শিক্ষক, শিক্ষা কর্মী এবং প্রধান শিক্ষকদের বদলির নির্দেশিকা জারি হল। দীর্ঘদিন ধরেই বদলি পক্রেয়া বন্ধ ছিল স্পেশাল গ্রাউন্ড এর মাধ্যমে। কিন্তু এবার করোনা আবহেই নতুন করে বদলি পক্রেয়া গতি পেতে শুরু করল।

যদিও বদলির সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেও বেশ কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত জানানো হয়নি, বদলি হয়ে শিক্ষক-শিক্ষা কর্মীরা কোন বিদ্যালয়ে কাজের জন্য যোগ দেবেন। তবে জানা গেছে, স্কুল খুললে তবে এই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। সূত্রের খবর, স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে বদলি সংক্রান্ত সুপারিশের চিঠি পাঠানো হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে। অন্যদিকে, বর্তমানে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় তীব্র অসুস্থ হয়ে থাকার দরুন তার জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে এসেছেন কার্তিক চন্দ্র মান্না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, প্রতিটি নিয়োগপত্রেই কার্তিক চন্দ্র মান্নার স্বাক্ষর আছে। ফলে কিছুটা স্বস্তিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। এখনো পর্যন্ত নিয়োগপত্র হাতে পেলেও কোথায় নিয়োগ করা হচ্ছে শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে। তবে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির শেষে স্কুল শুরু হলে এ ব্যাপারে বিশদে জানানো হবে। তবে যতদিন না স্কুল খুলছে, ততদিন পর্যন্ত বদলির নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা কাজে যোগ দিতে পারবেন না।

এই বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত ইস্যুটি ঝটপট মিটিয়ে নিতে চাইছে রাজ্য সরকার। মূলতঃ রাজ্যের শিক্ষকদের পাশে পেতেই রাজ্য সরকারের এরূপ সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে, কোথায় নিয়োগ হবে, তা ঘোষণা না করে আগেভাগে বদলির সিদ্ধান্ত কিভাবে নেওয়া হল? কারণ বদলির সিদ্ধান্ত হাতে পাওয়ার সাথেই পুরনো স্কুল ছাড়তে হয়েছে। এতে স্কুলগুলিও বিপাকে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!