প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনীতিতে অন্যতম জুটি হলেন শোভন-বৈশাখী। তৃণমূলেই হোক কিংবা বিজেপি- সবক্ষেত্রেই শোভনের সাথে জুড়ে গিয়েছেন বৈশাখী। এই নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। জল্পনা, গেরুয়া শিবিরে বৈশাখীকে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণেই দীর্ঘদিন শোভন নিষ্ক্রিয় ছিলেন বিজেপিতে। কার্যত রাজনীতির জগতে শোভন-বৈশাখী এবং রত্নার এই ত্রিকোণ সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন সবসময় অব্যাহত। শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই রত্নাকে ছেড়ে দূরে রয়েছেন। যদিও তাঁদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত ডিভোর্স হয়নি। অন্যদিকে শোনা যায়, শোভন এবং বৈশাখী একই সাথে বসবাস করেন। তবে এবার বৈশাখী ও রত্না একে অপরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হলেন। যথারীতি চাঞ্চল্য ত্রিকোণ সম্পর্কে।

জামাইষষ্ঠীর দিনই বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে যখন দেখা যায় ফেসবুকে বৈশাখীর ছবি পাল্টে গিয়েছে এবং নাম পাল্টে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নাম বদলে করে দিয়েছেন বৈশাখী শোভন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ছবির জায়গায় দুজনের হাসিমুখ ছবি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা অন্য মাত্রা যোগ করে সম্পর্কের বিতর্কে। আর তারপরেই রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক অভিযোগ কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। প্রসঙ্গত বৈশাখীর অভিযোগ নিয়ে বলতে গিয়ে এবার রত্না চ্যাটার্জী আরও গুরুতর অভিযোগ করলেন বৈশাখীর বিরুদ্ধে।

তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই বৈশাখীর শোভনের জীবনে প্রবেশ করেছিলেন। সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার পর তিনি শোভনকে মেরেও ফেলতে পারেন। আর সে কারণেই তিনি এবার সমস্ত প্রশাসনিক অলিন্দে অভিযোগ জানাবেন বৈশাখীর বিরুদ্ধে। কার্যত এটি একটি হুঁশিয়ারি বলেই বর্ণনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ হলো, রত্না চট্টোপাধ্যায় তাঁকে এবং শোভনকে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে চলেছেন।

সেক্ষেত্রে বৈশাখী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষমতা নিয়ে। যেহেতু রত্না এখন বিধায়ক তাই যেকোনো মুহূর্তে বৈশাখীকে সমস্যায় ফেলতে পারেন তিনি বলেই মনে করছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তি হস্তান্তর হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর তারপর থেকেই এই সম্পর্কে নতুন আলোড়ন শুরু। অন্যদিকে অবশ্য বেহালার বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি আর অপমানিত হতে চাননা এবার থেকে।

তিনি শোভনের কোন ব্যাপারে আর থাকবেন না। বরং তিনি নিজের বিধানসভার দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু তা সত্বেও যেভাবে শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে রয়েছে তাতে খুব সহজে তিনি বিতর্ক এড়াতে পারবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে গতকাল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে উচ্ছেদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ভাইয়ের তরফ থেকে। প্রশ্ন উঠেছে শোভনকে উচ্ছেদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই কি রত্নার বিরুদ্ধে রাতারাতি অভিযোগ দায়ের বৈশাখীর?