প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনীতির জগতে ইদানিংকালে দেখা যাচ্ছে বৈবাহিক জীবন নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ বাড়ছে। একদিকে শোভন-বৈশাখী রত্না এই বিতর্ক যেরকম বাড়িয়ে তুলেছেন, বাদ নেই গেরুয়া শিবিরের নেতাও। সেখানেও কিন্তু বিবাহিত জীবন নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। সম্প্রতি দার্জিলিং জেলার বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সঞ্জীব ঘোষ এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছেছেন। প্রসঙ্গত তিনিও তাঁর স্ত্রীর থেকে দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা। কিন্তু তাঁর স্ত্রী হাল না ছেড়ে জামাইষষ্ঠীর দিন সোজা শ্বশুরবাড়ি এসে উপস্থিত হন এবং দরজার সামনেই বসে পড়েন ধর্নায়। বিজেপি নেতার স্ত্রী দাবী করেন, শ্বশুরবাড়িতেই তিনি থাকবেন।

তাঁর স্বামীকে ছেড়ে তিনি কোথাও যাবেন না। যদিও দীর্ঘ ধর্নার পর পুলিশি আশ্বাসে এবং প্রবল বৃষ্টিতে বিজেপি নেতার স্ত্রী ধর্না প্রত্যাহার করেন বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়িতে ব্যাপকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই ঘটনায়। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতা সঞ্জীব ঘোষ বছর তিনেক আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন স্বাতা ঘোষের সঙ্গে। কিন্তু জানা যাচ্ছে, বিয়ের পরে পরেই তাঁদের জীবনে দীর্ঘ অশান্তি শুরু হয় এবং সেই অশান্তি এমন জায়গায় পৌঁছায় যেখানে দার্জিলিং জেলার বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সঞ্জীব ঘোষ তাঁ স্ত্রী শ্বেতার সঙ্গে থাকতে না পেরে আলাদা হয়ে যান। অন্যদিকে উক্ত বিজেপি নেতার স্ত্রী শ্বেতা ঘোষ জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই সঞ্জীব তাঁর ওপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার চালিয়েছিলেন।

এমনকি তাঁর স্ত্রীকে তিনি বাড়ি থেকেও বার করে দেন। কিন্তু তার পরেও শ্বেতা তাঁর স্বামীর কাছে ফিরতে চেয়ে ধর্নায় বসেছেন। অন্যদিকে সঞ্জীব ঘোষ জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের মামলা করেছে তাঁর স্ত্রী। একাধিক মামলা মোকদ্দমা করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে তিনিও যে ডিভোর্স চাইছেন, সে কথা স্পষ্টভাষায় জানিয়েছেন। তিনি তাঁর স্ত্রীকে কোনভাবেই ঘরে ঢুকতে দেবেন না। গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ির সামনে বসে থেকেও শ্বেতা ঘোষ তাঁর শ্বশুর বাড়িতে ঢুকতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে এবং প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়।

এই দেখে ধর্না প্রত্যাহার করেন ওই বিজেপি নেতার স্ত্রী। ফিরে যান স্বাভাবিকভাবেই। অন্যদিকে এই ঘটনা গেরুয়া শিবিরে অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে। বৈবাহিক জীবন এবং রাজনীতি দুটো যে আলাদা জায়গায় সে ব্যাপারে একমত রাজনৈতিক মহল। কিন্তু যেহেতু সঞ্জীব ঘোষ একজন রাজনৈতিক নেতা বলে পরিচিত। তাই তাঁর জীবনের যেকোনো বিতর্কের সঙ্গে জড়িয়ে পড়বে রাজনীতি বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক এবার কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই দেখার।