এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সাংবাদিক নিগ্রহের অভিযোগে দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ!

সাংবাদিক নিগ্রহের অভিযোগে দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ!

বরাবরই পশ্চিমবংগে যে দলই শাসক থাকুক না কেন, বিরুদ্ধ মত আরোপ হলে নিরপেক্ষ সেই সংবাদপত্রের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংঘাত অনিবার্য হয়ে ওঠে। সাংবাদিক মহলে কান পাতলে শোনা যায়, খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে রীতিমতো প্রাণের ঝুঁকি নিতে হয় সাংবাদিকদের। এ রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বহুবার সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি রাজনৈতিক খবর করতে যাওয়া সাংবাদিককে রীতিমতো আটকে রাখা হয়েছিল, সে খবরও এসেছে‌। এবার জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সাংবাদিক নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে।

সাংবাদিকরা খবর করতে গেলে তাঁদের হেনস্তা করে, প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি তথা বারোপেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে।

এদিন জলপাইগুড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি পিনাক প্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সম্প্রতি খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা হেনস্থা হয়েছেন শাসকদলের রাজনৈতিক নেতার হাতে। অভিযোগ,কৃষ্ণদাস এর নেতৃত্বে বেশ কিছু দুষ্কৃতী সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং তাদের খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির পদক্ষেপের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন তাঁরা বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত কৃষ্ণদাস সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি কোন সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় জড়িত নন। তাঁর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। অন্যদিকে, পুলিশ কর্তৃপক্ষ থেকে জানা গেছে, ইতিমধ্যে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে।

শাসক দলের পক্ষ থেকে অবশ্য এ বিষয়ে এখনো কোনো বিবৃতি দায়ের হয়নি। অন্যদিকে সমগ্র সাংবাদিক মহল থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিরোধী পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে, আগেই বলা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। এ দিনের ঘটনায় সে কথা আরেকবার প্রমাণ হলো।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সংবাদপত্রের মতো মিডিয়ার সঙ্গে সংঘাত লাগা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এই সংঘাতের ফলে যদি কোনো সাংবাদিককে আঘাত করার মতন গুরুতর কাজ হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। আপাতত তদন্ত চলছে। তবে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁকে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। সমস্ত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!