এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সিপিএম থেকে আসা নেতাদের আর বরদাস্ত নয়? এবার মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুঙ্কার আদি নেতাদের?

সিপিএম থেকে আসা নেতাদের আর বরদাস্ত নয়? এবার মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুঙ্কার আদি নেতাদের?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের মুখে উঠে এসেছিল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের কথা। এমন পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া অন্যদলের কিছু নেতা মন্ত্রীকে কেন্দ্র করেও কথা উঠতে শুরু করেছিল। আর সেই কারণেই দলের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল বলেও মন্তব্য করেছিলেন কেউ কেউ। তবে এবার আবারো সেই একই বিষয়কে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তৃণমূলের অন্দরমহল।

জানা গেছে, বর্ধমান শহরের এই দুই তৃণমূল নেতা খোকন দাস আর ইফতিকার আহমেদ পাপ্পুর মধ্যে বাকবিতণ্ডার কারণে অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও দলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব সমস্যা মিটিয়ে সবাই মিলে এক সঙ্গে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করবেন বলেই দাবি জানিয়েছেন। তবুও তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কাহিনী এখনই ভুলে যেতে রাজি হননি বিরোধীরা।

জানা গেছে, কিছুদিন আগে বর্ধমান শহরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ছট পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে তৃণমূল নেতা খোকন দাস যে মন্তব্য করেন, সেই কথাকে কেন্দ্র করেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এখানে বর্ধমান পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর খোকন বাবু অভিযোগ করেন, সিপিএমের থেকে কিছু লোক দলে ঢুকে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন।

তাঁর কথায়, তাঁরা বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলের অন্য নেতাদের থেকে নিজেকে আরও বড় নেতা বলে মনে করছেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন তৃণমূল করে আসা নেতারা এটা বরদাস্ত করবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, প্রয়োজনে তাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে পুলিশকে হুমকি দিতেও দেখা গেছে তাঁকে। এদিন তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, অভিযোগ জানানোর পর ব্যবস্থা না নিলে পুলিশকে ঘেরাও করা হবে। সেইসঙ্গে অন্য দলের হয়ে কাজ করলে পুলিশকেও ছেড়ে কথা বলবেন না বলেই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেছে তাঁকে। এখানে দলের অনেকের মতে, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সভাপতি মেহরাজ খান।

তাঁদের কথায়, তিনি সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। আর সেখানেই দলের নেতাদের একাংশ মনে করছেন, খোকবাবু এই মেহরাজকে নিশানা করেই হুমকি দিয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে মেহরাজবাবু কিছু না বললেও তাঁর এক অনুগামী তথা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর সেলিম খান খোকনবাবুকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বলেই জানা গেছে।

এদিন এই ঘটনার পর গোদা এলাকায় একটি শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে নাম না করেই তাঁকে বলতে শোনা গেছে, ‘‘উনি অসুস্থ বাঘ। ওঁরাই বিজেপির- সঙ্গে আছেন। তাই দলের নেতা-কর্মীদের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার কথা বলছেন। এ সব তো বিজেপি নেতারা বলেন।’’ যদিও অন্যদিকে, দলের নেতাদের প্রকাশ্যে এই কোন্দল নিয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডুকে মুখ খুলতে দেখা গেছে।

সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘দলে কিছু সমস্যা থাকলে সব মিটে যাবে। সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব।’’ কিন্তু এরই মধ্যে বিজেপির জেলা যুব মোর্চা সভাপতি শুভম নিয়োগী অবশ্য তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘এটাই ওদের সংস্কৃতি। তৃণমূলের হিংসা, মারামারি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু থেকেই রাজ্যবাসী দেখে আসছে।” আর তাই ২০২১ সালে মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে বলে মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!