এবার ফল-ব্যাবসায়ীকে খুনের ঘটনায় জড়িয়ে গেল হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার ছেলের নাম, অস্বস্তিতে শাসকদল কলকাতা রাজ্য April 17, 2019 গত সোমবার বেলঘড়িয়ার ম্যাকাঞ্জির রোডের এক ফল ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় অবশেষে তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গেছে, ধৃতদের মধ্যে রয়েছে মহম্মদ আসিফ ওরফে পাপ্পু, নেপালি ওরফে ইমরান আলি এবং আসিফ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ব্যাবসার টাকা ধার নেওয়ার পর তা সময় মত শোধ না করার জেরেই ওই ফল ব্যবসায়ীকে খুন করেছে তারা। কিন্তু ঠিক খুনের আগে কি ঘটনা ঘটেছিল? সূত্রের খবর, ধৃত আসিফের সুদের কারবার ছিল। এদিকে মৃত ফল ব্যবসায়ী সাহেব আলি আসিফের পূর্ব পরিচিত হওয়ায় বেশ কিছুদিন আগে তিনি আসিফের কাছ থেকে দু লক্ষ টাকা ধার নিলেও সময়মতো তা ফেরত না দেওয়ায় সোমবার সেই সাহেব আলিকে ডেকে পাঠায় আসিফ। আর এরপরই আসিফ সেই নিহত ফল ব্যবসায়ী সাহেব আলীর কাছ থেকে টাকা ফেরত চাইলে দুজনের মধ্যে চরম বচসা তৈরি হয়। আর তখনই সেই সাহেব আলিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনার পরেই হামলাকারীরা সাহেব আলীকে রথতলার কাছে একটি নার্সিংহোমে যাওয়ার সময় আসিফ ওরফে পাপ্পুকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে বাকি তিনজন পালিয়ে গেলেও সিসি ক্যামেরা দেখে তদন্তে নেমে সেই তিনজনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে এই ঘটনার পরই মৃত ফল ব্যবসায়ীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়, কামারহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা সহ অন্যান্যরা। এদিকে এই খুনের ঘটনার সঙ্গের তৃণমূল কাউন্সিলর কালামুদ্দিন আনসারীর ছেলে জড়িত রয়েছে বলে মৃতদের পরিবারের তরফে অভিযোগ জানানো হলে এদিন এই প্রসঙ্গে কামারহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, “পরিবারের লোকজন দলের এক কাউন্সিলরের ছেলে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। আমরা জানিয়েছি যে খুনের ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হবে। আইন আইনের পথে চলবে।” কিন্তু সত্যিই কি তার ছেলে এই ঘটনায় জড়িত? এদিন এই প্রসঙ্গে কামারহাটি পৌরসভার 6 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কালামুদ্দিন আনসারী বলেন, “এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চাই দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। তবে আমার ছেলের নামে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো যোগ নেই।” আপনার মতামত জানান -