রাজ্য সরকারি কর্মীদের বাড়তে চলেছে ডিএ,বেতন- ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ খবর রাজ্য May 22, 2018 রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও ডিএ নিয়ে ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। দেশের বেশিরভাগ রাজ্যেই কেন্দ্রীয়হারে বেতনক্রম চালু হয়ে গেলেও, বাংলায় এখনো সেই নিয়ে কোনো সুপারিশ জমা পরে নি, উল্টে সেই কমিটির মেয়াদ দীর্ঘায়িত করে আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয়হারে বেতনক্রম চালু না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র পার্থক্য ৪৫% পৌঁছেছে। সরকারি কর্মচারীদের অভিযোগ এর ফলে শুধুমাত্র একজন গ্রূপ-ডি কর্মচারীর বছরে প্রায় ১ লক্ষ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে আর তাই সুরাহার জন্য আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের মামলার দিকে তাকিয়ে আছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবীদের কর্মবিরতির জন্য দীর্ঘদিন এই মামলার শুনানি আটকে ছিল, কিন্তু তা মিতে যেতেই আদালত চেয়েছিল দ্রুত এই মামলার শুনানি শেষ করে গত ১৭ মে এই মামলার রায়দান করতে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের শুনানি নিয়ে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ব্যস্ত থাকায় তা সম্ভব হয় নি, ফলে এই মামলার রায়দান আগামী মাসে হতে পারে। অন্যদিকে, গতকাল নজরুল মঞ্চে বঙ্গবিভূষণ-বঙ্গভূষণ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী সিভিক ভলান্টিয়ার, আশা কর্মী ও আইসিডিসি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু তার সঙ্গেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেন,” সরকারি কর্মীদের প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা আমরা পালন করব।পুজোর আগে ওটা হয়ে যাবে।” প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ১৫% ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে যাবতীয় বকেয়া ডিএ তাঁর সরকার মিটিয়ে দেবে। ফলে গতকালের তাঁর ঘোষণার পর নতুন করে আসার সঞ্চার হয়েছে সরকারি কর্মীদের মধ্যে – তাহলে কি পুজোর আগেই কেন্দ্রীয় হারে বেতন সঙ্গে বকেয়া ডিএ? উত্তর জানার জন্য অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামত পুজো পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। আপনার মতামত জানান -