নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে জোর করে সরকারি জমিতে তৃণমূল কার্যালয় তৈরি ঘিরে বিক্ষোভ তৃণমূলেরই অন্দরে বর্ধমান রাজ্য January 4, 2019 কথায় আছে, “রক্ষকই হয় ভক্ষক।” এবার শুধু কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকল না বাংলার এই প্রবাদ-প্রবচনটি, বাস্তবেও শাসকদলের বদান্যতায় এই প্রবাদ-প্রবচনটি সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমি জবরদখল করে কিছু করা যাবে না বলে যখন বারবার সকলকে কড়া নির্দেশ দিচ্ছেন ঠিক তখনই সেই সরকারি জমিতে শাসকদলের কার্যালয় নির্মাণের অভিযোগে তোলপাড় হয়ে উঠল মন্তেশ্বরের পুঁটশুড়ি অঞ্চলের সোনাডাঙ্গা এলাকা। কিন্তু স্বয়ং দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরও কেন এমনটা করলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা? জানা গেছে, গত 27 শে নভেম্বর মন্তেশ্বরের পুটশুড়ী অঞ্চলের সোনাডাঙ্গায় পিডব্লুডির তরফে এই জমিতে কোনো নির্মাণ কাজ না করার জন্য একটি নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। আর সরকারের এই নোটিশ উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার সেখানে উদ্বোধন করা হয় শাসক দলের দলীয় কার্যালয়ের। একাংশের অভিযোগ যে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আহমেদ হোসেন নিজের প্রভাব খাটিয়েই এই কাজ করেছেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পিডব্লুডি অফিসার এবং বিডিওর কাছে একটি অভিযোগও জানিয়েছেন সোনাডাঙার এক বাসিন্দা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেন সরকারি জমিতেই তারা দলীয় কার্যালয় খুললেন? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই মন্তেশ্বরী পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আহমেদ হোসেনকে ফোন করা হলেও তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে এই ব্যাপারে মন্তেশ্বর ব্লক তৃনমূলের সভাপতি আজিজুল শেখ বলেন, “অনেকদিন ধরেই সোনাডাঙ্গার ওই জমিতে দলের অস্থায়ী অফিস ছিল। সম্প্রতি তা পাকা করা হয়। কিন্তু পিডব্লুডির নোটিশের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।” অন্যদিকে এই ব্যাপার পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “সোনাডাঙ্গায় কোনো পার্টি অফিস হয়েছে বলে আমি শুনিনি। পুরো বিষয়টি আমি আহমেদ হোসেনের কাছ থেকে শুনব।” সব মিলিয়ে এবার সরকারি জমিতে শাসকদলের পার্টি অফিস গড়ে ওঠায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আপনার মতামত জানান -