প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ দূর্যোগে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে নানা দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে দুর্নীতি পরায়ন নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মানুষের কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি ভালো করতেই এই উদ্যোগ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

কিন্তু দুর্নীতিকে ঢাকবার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করলেও, এবার রাজ্যের শাসক দলের এক নেতার ছেলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এল। এবার কোনো দুর্নীতিমূলক ঘটনা নয়, সরাসরি গাজা পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন তৃণমূল নেতার ছেলে।

জানা গেছে, বর্ধমানের কাটোয়ার মঙ্গলকোটে গীধগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের ছেলে লিয়াকত আলী সম্প্রতি গাঁজা পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন। আর এতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে তৃণমূল নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও আরেক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার বাড়ি কোচবিহার দিনহাটা এলাকায় বলে খবর।

ধৃতদের কাছ থেকে 11 কেজি 500 গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। বস্তুত, শনিবার দেওয়ানদিঘী থানা এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে নাকা চেকিং করা হচ্ছিল। আর সেই সময় একটি মারুতি দেখে পুলিশের সন্দেহ হলে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে তারা এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে। এখন কোথা থেকে এত গাজা এল, সেই রহস্য উন্মোচন করতে ব্যস্ত প্রশাসন। তবে গোটা ঘটনায় তৃণমূল যে ব্যাপক চাপে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কেননা এতদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছিল, রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন বিরোধীদের চাপে রাখতে তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে গাজা পাচারের কেশ দিচ্ছে। কিন্তু এবার যেভাবে সরাসরি তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতার ছেলের কাছ থেকে ব্যাপক গাঁজা উদ্ধার হল, তাতে দুর্নীতি ঢাকতে গিয়ে তৃণমূল এখন বড় কেলেঙ্কারির মুখে টড়ল বলেই মনে করছে একাংশ।

আর এই ঘটনাকে সামনে নিয়ে বিরোধীরা যে ব্যাপক প্রচার চালাবে এবং তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে উদ্যত হবে, তা কার্যত পরিষ্কার সকলের কাছে‌। এখন তৃণমূলের উপ-প্রধানের ছেলের এই কুকীর্তি রাজ্যের শাসক দলকে কতটা চাপে ফেলে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।