এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > গুজরাট দাঙ্গার জন্য মোদিকে দায়ী করে প্রবন্ধ প্রকাশিত পাঠ্যবইয়ে

গুজরাট দাঙ্গার জন্য মোদিকে দায়ী করে প্রবন্ধ প্রকাশিত পাঠ্যবইয়ে


১৬ বছর আগের গুজরাতের সেই ভয়াভয় দাঙ্গার জন্য দায়ী করা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। অসমিয়া ভাষায় প্রকাশিত দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই-এর ৩৭৬ নম্বর পাতায় স্পষ্ট ভাষায় লেখা রয়েছে,২০০২ সালে গুজরাত জুড়ে দাঙ্গাকালীন সবরমতী এক্সপ্রেসের গোধরা রেলস্টেশনে ৫৭ জন মানুষ মারা গিয়েছিল। সব দেখেও এই দাঙ্গা রোধে কোনো সক্রিয় ভূমিকা নেননি তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী তথা অধুনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ কথা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোট দেশ জুড়ে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বিতর্ক কিছুতেই পিছন ছাড়ছে না মোদীজির। ঘটনার পর বহুদিন কেটে গেলেও,রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও ফের একটা একটা ইস্যু তুলে গুজরাত দাঙ্গার জন্য দায়ী করা হল মোদীজিকে। এটাই প্রথম বার নয়,আগেও বহুবার হয়েছে। মোদীজি এর বিরুদ্ধে নিজের সাফাইতে যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা দেশবাসীর সামনে রাখলেও বিতর্ক থেকে তাঁর মুক্তি মিলছে না কিছুতেই। লোকসভা ভোটের আগে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এভাবে অতীতে হওয়া একটি দাঙ্গার কারণে কাঠগড়ায় তোলা হলে তা যে বিজেপির ভাবমূর্তির জন্য সুবিধাজনক নয়,তা স্বীকার করে নিয়েছেন গেরুয়াশিবির কর্তারাও। আপাতত উদ্বেগের বাতাবরণ রয়েছে বিজেপিতে।

পুলিশ সূত্র থেকে জানা গিয়েছে,অসমিয়া ভাষায় প্রকাশিত বইটির তিনজন লেখক হলেন আর্য বিদ্যাপীঠ কলেজের প্রাক্তণ বিভাগীয় প্রধান দুর্গাকান্ত শর্মা,গোয়ালপাড়া কলেজের প্রাক্তণ বিভাগীয় প্রধান রফির জামান এবখ দক্ষিণ কামরূপ কলেজের বিভাগীয় প্রধান মানস প্রতীম বড়ুয়া। এঁদের মধ্যে দুর্গাকান্ত শর্মা প্রয়াত হয়েছেন বেশ কয়েকবছর আগেই। আর বাকি দুজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সৌমিত্র গোস্বামী এবং মানবজ্যোতি বোরা। ২০১১ সাল থেকে এই বই পড়া হয়ে আসছে অসমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। বর্তমানে বিজেপি শাসিত অসমে কীভাবে মোদী-বিরোধী কথা পাঠ্যপুস্তকে থাকতে পারে- তা নিয়েও দফায় দফায় প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিকমহলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে হইচই পড়ে গিয়ছে পড়শি রাজ্য অসমের রাজনীতিতে।

তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো যুক্তি নেই,এমনটাই জানালেন লেখক মানস প্রতীম বড়ুয়া। তাঁর বক্তব্য,এনসিএআরটি’র বই-এর তথ্যের উপর ভিত্তি করেই সাত বছর আগে এই বইটি লেখা হয়েছিল। এখানে লেখকদের নিজস্ব মতপ্রকাশের জায়গাই নেই কোনো। অনেক বই-এ এরকম তথ্য থাকে। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বিজেপির প্রথম সারির নেতা এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কোনো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এখনো।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!