মমতার চিন্তা বাড়িয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন ভাঙন ধরাতে চলল বিজেপি, জোর চাঞ্চল্য কলকাতা রাজ্য July 9, 2019 লোকসভা নির্বাচনে এবার সরকারি কর্মচারীদের সমর্থন শাসক দল তৃণমূলের দিকে যায়নি। যার কারণ হিসেবে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা, পে কমিশন ইত্যাদি ছিল বলে মনে করেছে বিশেষজ্ঞরা।এদিকে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির উত্থান হওয়ায় পরেই দিকে দিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন। আর এবার সেই সরকারি কর্মচারীতেও ভাঙন ধরাতে শুরু করল বিজেপি। সূত্রের খবর, সোমবার সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব পাল কোর কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। জানা গেছে, নবান্নের 14 তলায় কর্মরত এই সঞ্জীব বাবু তৃণমূলের কর্মী সংগঠনের অত্যন্ত দক্ষ সংগঠক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। আর এবার সেই তিনিই সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় তার বিজেপি যোগের জল্পনা তৈরি হতে শুরু করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে শুধু সঞ্জীববাবু নয়, তার সাথে আরও অনেক কর্মী তৃণমূল ছেড়ে শিবির বদলাতে চলেছেন বলে খবর। ইতিমধ্যেই এই সঞ্জীব পাল তার ইস্তফাপত্র রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর আত্মসহায়কের হাতে এবং মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারিকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ তিনি সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে সঞ্জীব পাল বলেন, “পে কমিশন, কর্মীদের বাড়ি থেকে বহু দূরে বদলি, ইত্যাদি দাবি আমরা মেটাতে পারিনি। তাই এই ইস্তফা পত্র দিয়েছি।” তাহলে কি তিনি অন্য কোন দলে যোগ দেবেন! এদিন এই প্রসঙ্গ জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন সেই সঞ্জীববাবু। তিনি বলেন, “কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেই কি করব, তা ঠিক করা হবে।” তবে এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে পারেন এই সঞ্জীব পাল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, একেইতো সরকারি কর্মচারীদের সমর্থন তৃণমূলের দিকে নেই। তার ওপরে এইভাবে সঞ্জীব পালের মত তৃণমূলের পালে থাকা দক্ষ সংগঠক যদি বিজেপিতে যোগ দেয়, তাহলে তৃণমূলের সরকারি কর্মচারীদের ভোটব্যাঙ্কে যে ধ্বস নামতে চলেছে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। আপনার মতামত জানান -