এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হাথরসের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদী চুপ কেন, এই প্রশ্ন তুলে টুইট অভিষেকের

হাথরসের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদী চুপ কেন, এই প্রশ্ন তুলে টুইট অভিষেকের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতবর্ষের বুকে ঘটে গেল আরও এক নৃশংস ঘটনা। টানা 15 দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মঙ্গলবার মৃত্যু হল দলিত পরিবারের 19 বছরের তরুণীর। জানা যায়, গত 14 সেপ্টেম্বর হাসরতের এই দলিত তরুনীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। আর তারপর থেকেই প্রতিবাদ শুরু হয় গোটা দেশজুড়ে। ঘটনার তিন দিনের মধ্যে চারজন অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও, উত্তরপ্রদেশের এই গণধর্ষণের ঘটনা নিঃসন্দেহে অস্বস্তি বাড়ায় বিজেপি সরকারের।

স্বভাবতই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যেমন সরব হয় বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো, ঠিক তেমনই উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। আর এবার ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটে গেলেও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, এদিন টুইটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “15 দিন লড়াইয়ের পর জীবন যুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন নির্যাতিতা। এর পরেই মৃতদেহের অবমাননা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। অথচ হাথরাস নিয়ে নরেন্দ্র মোদী চুপ রয়েছেন।” আর ভয়াবহ এই গণধর্ষণের ঘটনার পর নির্যাতিতার মৃত্যুর পর যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে সরব হলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড, তাতে বিজেপির চাপ অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, এই তরুণীর মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকে তার দেহ পাওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সেই নির্যাতিতার পরিবারের বিবাদ বাধে। যেখানে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ রাতের অন্ধকারে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে মৃতদেহের শেষকৃত্য করেছে। আর এরপরই গোটা ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “ভারতের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। আর সেই ঘটনা চাপা দিতে তার পরিবারের কাছ থেকে শেষকৃত্যের অধিকারটাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এই কাজ খুব আপত্তিকর এবং অন্যায়।” ফলে একের পর এক বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা এই ব্যাপারে বিজেপিকে কটাক্ষ করায় প্রবল পরিমাণে চাপ বাড়ছিল গেরুয়া শিবিরের ওপর। আর এবার এই ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঝেমধ্যেই বাংলার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পথে নামতে দেখা যায় বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। যা অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয় ঘাসফুল শিবিরের। কিন্তু এবার বিজেপি পরিচালিত উত্তরপ্রদেশের গণধর্ষণ নিয়ে যখন উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে গোটা দেশ, ঠিক তখনই সেই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অর্থাৎ এর ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষের জেরে বাংলার বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি নারী নির্যাতন নিয়ে তৃণমূল সরকারকে প্রশ্ন করার আগে নিজেরাই উত্তরপ্রদেশের ঘটনা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশের ঘটনা বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে যে বড়সড় অস্ত্র তুলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কতটা জোরালো হয় এবং তার ফলে গেরুয়া শিবির কতটা অস্বস্তিতে পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!