এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > হাথরাস কান্ডের পরেই “ধর্ষণ” নিয়ে মন্তব্য হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়কের! জোর বিতর্ক!

হাথরাস কান্ডের পরেই “ধর্ষণ” নিয়ে মন্তব্য হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়কের! জোর বিতর্ক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ঘটনা গোটা ভারতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করে তারপর সেই তরুণীর মৃত্যু নিঃসন্দেহে উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল। বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সমাজকর্মীরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।

যার ফলে অনেকটাই চাপে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কেননা কেন্দ্রে যেমন বিজেপি সরকার রয়েছে, ঠিক তেমনই উত্তরপ্রদেশে রয়েছে বিজেপি পরিচালিত সরকার। তাই এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়া সত্ত্বেও, কেন সেখানকার প্রশাসন নীরব! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির অস্বস্তিকে বাড়িয়ে দিয়ে “ধর্ষণ” নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিলেন বালিয়ার বিজেপি বিধায়ক।

সূত্রের খবর, এদিন ধর্ষণের জন্য মেয়েদেরকেই কাঠগড়ায় তুলতে দেখা যায় এই বিজেপি বিধায়ককে। যার জেরে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এদিন বালিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংহ বলেন, “মেয়েদের সংস্কার শেখাক পরিবার। সংস্কার শেখানোর দায়িত্ব বাবা-মায়ের। শুধুমাত্র প্রশাসন ধর্ষণ আটকাতে পারবে না।” স্বভাবতই প্রশাসনের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা থাকলেও, যেভাবে ধর্ষণের জন্য মেয়েদেরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন এই বিজেপি বিধায়ক, তাতে তার ভূমিকা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের বারাবাকির বিজেপি নেতা রঞ্জিত বাহাদুর শ্রীবাস্তবের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করেও ব্যাপক বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “ঘাস কাটতে গিয়ে ক্ষেতে কি করছিলেন নির্যাতিতা? অভিযুক্তের সঙ্গে কি সম্পর্ক ছিল নির্যাতিতার! প্রেমিকের সঙ্গে মারামারিতেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধর্ষণের কোনো প্রমাণ মেলেনি। তার পরেও কেন 25 লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হল! কেন জনগণের করের টাকায় বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে!”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের মতে, এত বড় নৃশংস ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও কিভাবে বিজেপি নেতারা এইরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করছেন, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। অনেকে বলছেন, যারা এই সমস্ত মন্তব্য করছেন, তাদের বাড়িতে হয়ত মা-বোন নেই। আর তাই তারা এমেয়েদের যন্ত্রণাকে দূরীভূত করে তাদেরকেই ধর্ষণের জন্য কাঠগড়ায় তুলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা দেখাচ্ছেন না! এটা সত্যিই লজ্জাজনক ঘটনা। তবে এই ব্যাপারে বিজেপি নেতাদের মন্তব্যের কড়া বিরোধিতা করতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এরা বিধায়ক হতে পারে, কিন্তু জ্ঞানের দিক থেকে মূর্খ। এরা নারীজাতির সম্মান সম্পর্কে সচেতন নয়। এই ঘটনায় সারা রাজ্যের মাথা নত হয়ে যাচ্ছে। আর সেখানকার বিধায়করা এই ঘটনার নিন্দা না করে নির্যাতিতার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সমর্থনের ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য রাখছেন।” একাংশ বলছেন, এমনিতেই উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় বিজেপি অনেকটাই কোণঠাসা। আর তার মধ্যে যেভাবে দুই বিজেপি নেতা সেই ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন, তাতে গেরুয়া শিবিরের বিড়ম্বনা আরও বাড়তে শুরু করেছে। এখন এই ঘটনাকে ইস্যু করে সমাজকর্মী থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিজেপির বিরুদ্ধে যদি আন্দোলনে নামতে শুরু করে, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি আরও চাপে পড়ে যাবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এখন দুই বিজেপি নেতার বিতর্কিত মন্তব্যতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!