এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > হেরে ভূত, তারপরেও নাকি জোট বৈঠক! ধুয়ে দিয়ে যা বললেন শুভেন্দু!

হেরে ভূত, তারপরেও নাকি জোট বৈঠক! ধুয়ে দিয়ে যা বললেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সঙ্গী সাথীরা বিজেপির বিরুদ্ধে জোট গঠন করে ভেবেছিল, লোকসভার আগে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তারা অভূতপূর্ব ফলাফল করবে। সেই মত তারা এই নির্বাচনকে সেমিফাইনাল হিসেবে ব্যাখ্যাও করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের মুখ থুবড়ে পড়েছে। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, দেশের মানুষ রয়েছে বিজেপির সঙ্গে। এমনকি এই ফলাফল স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, আগামী লোকসভায় আবার ক্ষমতা দখল করতে চলেছে বিজেপি। কিন্তু গোহারা হারার পরেও ইন্ডিয়া জোটের নেতা-নেত্রীদের শিক্ষা হচ্ছে না। তারা আবার বৈঠক ডেকেছেন। দিল্লিতে নাকি সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আর এটা শুনেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যা বললেন, তা শুনে হাসছেন সকলেই। যদি বিবেক, মেরুদন্ড থাকত, তাহলে অন্তত এত পর্যদুস্ত হওয়ার পর এই বিরোধী জোটের নেতারা বৈঠক ডাকতেন না। আত্ম সমালোচনা, পর্যবেক্ষণ এসব করে যে আর কোনও লাভ হবে না, সেটা তারাও জানেন। কিন্তু তারপরেও তাদের এই বৈঠক ডাকার নাটককে কড়া ভাষায় ধুয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, এদিন পাঁচ রাজ্যে বিজেপির অভূতপূর্ব ফলাফলের পর শুভেন্দু অধিকারীকে ইন্ডিয়া জোটের আগামী বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এক হাস্যরসাত্মক কথা বলেন। তিনি বলেন, “ওখানে সবাই বৈঠক করতে যাচ্ছে না। ওখানে শোকসভা পালন হবে।” অর্থাৎ ইন্ডিয়া জোট তৈরি হলেও তার যে কোনো ভিত্তি নেই, তা এই পাঁচ রাজ্যের ফলাফলেই স্পষ্ট। তাই নেতারা হয়ত এই বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে অনেক কথা বলবেন, বিজেপির বিরুদ্ধে কুৎসা করবেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হবে না। দেশের মানুষ আগামী লোকসভায় বিজেপির পক্ষেই রায় দেবে, এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।

গেরুয়া শিবিরের দাবি, সামান্য লজ্জা থাকলে এই ধরনের বৈঠক আর করত না ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু তারা ক্ষমতা ভোগ করতে বিশ্বাসী। তাই পাচ রাজ্যে হেরে যাওয়ার পরেও তারা এখন স্বপ্ন দেখছে, আগামী লোকসভায় ভালো ফল করার। সেই কারণেই নির্লজ্জের মত গোহারা হেরে গিয়েও তাদের এইরূপ মানসিকতা দেশের মানুষের সামনে আসছে। তারাই বৈঠক করে হয়ত আবার বিজেপির বিরুদ্ধে এত বড় কথা বলবেন। কিন্তু এসব তারা যত করবেন, ততই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন। আগামী লোকসভায় যে কয়টা আসন পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, সেখানেও তারা ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবেন বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি এটা আদর্শগত বা মতাদর্শের নিরিখে রাজনীতি হত, তাহলে অন্য কোনো দল হলে আর বৈঠক পর্যন্ত ডাকত না। তারা ভাবত যে, তারা আদৌ এই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে কিনা! কারণ যে দলের সঙ্গে মানুষ থাকে, তাদের বিরুদ্ধে যাওয়া মানে মানুষের বিরুদ্ধে যাওয়া। কিন্তু এটা ইন্ডিয়া জোটের নেতা-নেত্রীরা বোঝে না। তারা নিজেদের স্বার্থ নিয়ে লড়াই করতে ব্যস্ত। আর সেই কারণেই গোহারা হেরে ভূত হয়ে যাওয়ার পরেও তারা আবার বৈঠকের ডাক দিয়েছে। তবে এই বৈঠক পরাজিত হয়ে যাওয়ার পর সত্যিই হয়ত শোকসভা ছাড়া আর কিছু নয়। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!