এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সদস্য বাড়লেও আদতে কতটা বেড়েছে সাংগঠনিক শক্তি? বুথস্তর থেকে যাচাই শুরু করল গেরুয়া শিবির

সদস্য বাড়লেও আদতে কতটা বেড়েছে সাংগঠনিক শক্তি? বুথস্তর থেকে যাচাই শুরু করল গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য পাওয়ার পরেই বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে উদ্যোগী হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে জেলায় জেলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচিতে নামা হয়। জানা গেছে, বিজেপির পক্ষ থেকে এই সদস্য সংগ্রহ অভিযানে ব্যাপক সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। তবে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সাফল্য পেলেও, সাংগঠনিক কাজে দলের সদস্যরা কতটা সক্রিয় তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।

কেননা শুধুমাত্র সদস্য বৃদ্ধি হলেই হবে না, তারা তাদের কাজকর্ম যাতে সঠিকভাবে করতে পারে এবং আগামী নির্বাচনে যাতে সেই সদস্যরা পরিশ্রম করে আনতে পারে, সেটাই আসল উদ্দেশ্য ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। তাই দলের সাংগঠনিক শক্তি হাতে-কলমে যাচাই করতে এবার এলাকায় এলাকায় বৈঠক শুরু করে দিল বিজেপির সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, বুথস্তরের স্থানীয় নেতৃত্ব এবং দলীয় সদস্যদের নিয়ে এই বৈঠক শুরু করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তমলুক সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির মোট 490 টি শক্তি কেন্দ্র রয়েছে।

যেখানে প্রতিটি শক্তি কেন্দ্র থেকে 4 থেকে 7 টি বুথ রয়েছে। মূলত এই বৈঠকে দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার মন্ডল সভাপতিরা উপস্থিত থাকছেন। তবে কেউ যদি অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে তাদের অনুপস্থিত থাকার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত লোকসভা নির্বাচনে তমলুক এবং কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করলেও, সেখানে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ বিজেপির ভোটব্যাংক যে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই পরিস্থিতিতে সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি অটুট রাখতে এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে সদস্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সেই সদস্যদের কাজ কর্মের দিকে এবার নজর দিতে শুরু করল ভারতীয় জনতা পার্টি‌। আর তাই এখন থেকেই সদস্যরা যাতে হাতে কলমে সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি করতে পারেন, তার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলার এক বিজেপি নেতা বলেন, “পুজোর ছুটির পর প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু হবে। বিধানসভা ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখে তার আগে সাংগঠনিক শক্তি যাচাই এবং দলের সদস্যদের সক্রিয় করতে শক্তিকেন্দ্র স্তরে পর্যালোচনা বৈঠক করা হচ্ছে।” এদিকে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির সভাপতি নবারুন নায়েক বলেন, “দলের স্থানীয় নেতৃত্বের কাজকর্ম এবং দলের নতুন সদস্যদের ভূমিকা যাচাইয়ের পাশাপাশি শক্তিকেন্দ্রে সংগঠন কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা দেখা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “কোথাও ঘাটতি রয়েছে কিনা, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এতে ভালো সাড়া মিলেছে।” অর্থাৎ যেনতেন প্রকারেণ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে বিজেপির পক্ষ থেকে এখন কর্মীদের সাংগঠনিক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। সব মিলিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি নিজ কর্মীদের শক্তিশালী করার কাজ শুরু করে দিল। বিশেষ করে এই জেলা কিন্তু তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত, কিন্তু সেখানেই এবার সাংগঠনিক দক্ষতার জেরে পদ্ম ফোটাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!