এবার ধাক্কা এলাহাবাদ হাইকোর্টের! কাফিল খান কান্ডে প্রবল অস্বস্তির মুখে যোগী সরকার জাতীয় September 1, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কাফিল খান এই নামটি জনসাধারণের সামনে আসে 2017 সালে। তখন উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার সবে মাত্র চার মাস হল এসেছে। সেই সময় এমন একটি ঘটনা ঘটে উত্তরপ্রদেশে, যা দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু করে। উত্তর প্রদেশের একটি হাসপাতালে সে সময় অক্সিজেনের অভাবে প্রায় 60 জন শিশু মারা যান। আর তাই নিয়ে শুরু হয় কাটাছেঁড়া। প্রাথমিকভাবে বিরোধীরা যোগী সরকারের অপদার্থতা হিসেবেই এই ঘটনার ব্যাখ্যা করেন। কিন্তু যোগী সরকার তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সরিয়ে দেওয়া হয় ডঃ কাফিল খানকে। এমনকি তাকে নয় মাসের জন্য জেলেও পাঠানো হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ না থাকায় তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। এরপর নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এতদিন পর্যন্ত কাফিল খান জেলে বন্দী ছিলেন। কিন্তু এবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট পাল্টা ধাক্কা দিলো উত্তরপ্রদেশ সরকারকে। দীর্ঘদিন ধরেই কাফিল খান প্রশাসনিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তিনি প্রবল প্রতিবাদ শুরু করেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জায়গায় জায়গায় তিনি এই আইনের প্রতিবাদে ভাষণ দেওয়ার জন্য যান। আর তার ফলে কাফিল খান এর ওপর প্রয়োগ করা হয় জাতীয় নিরাপত্তা আইন। এবং 29 জানুয়ারি মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার করে তাঁকে জেলে পাঠানো হয়। সদ্যই কাফিল খানের জেলে থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে ছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল কাফিল খানকে আগামী 13 ই নভেম্বর পর্যন্ত জেলে থাকার সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু এবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়, কাফিল খানকে জননিরাপত্তা আইনের প্রয়োগে জেলে ঢোকানো সম্পূর্ণ বেআইনি। সেক্ষেত্রে দীর্ঘদিন পর এবার জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন বিতর্কিত শিশু চিকিৎসক কাফিল খান। জানা গেছে, জেলে থাকলেও তিনি সরকারের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদ করে এসেছেন। এদিকে দেশের বিরোধী শিবিরগুলিও কাফিল খানের পক্ষে বিভিন্ন সময় মুখ খুলেছেন। এই পরিস্থিতিতে এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে কাফিল খানের মুক্তি খুব স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তির মুখে ফেলল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপাতত দেখার, কাফিল খানের মুক্তির প্রসঙ্গ উত্তরপ্রদেশ সরকার মেনে নেয় নাকি তাঁরা আরো উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা ভাববে! আপনার মতামত জানান -