এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > জঙ্গলমহল আছে শাসকদলের পাশেই প্রমানে হুল দিবসকে ঘিরে সাজো সাজো রব

জঙ্গলমহল আছে শাসকদলের পাশেই প্রমানে হুল দিবসকে ঘিরে সাজো সাজো রব


সুদীপ্ত মাহাত, ঝাড়গ্রাম: হুল দিবসকে সাফল্যমণ্ডিত করে তুলতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশ এসেছে রাজ্যের শাসকদলের নেতা-কর্মীদের প্রতি। রাজ্যস্তরীয় এই হুল দিবস তিনদিন ধরে চলবে। এই হুল অনুষ্ঠানে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত থাকার নির্দেশ রয়েছে। যাতে ঝাড়গ্রামের প্রতিটি ব্লকের প্রতিটি অঞ্চল থেকে আদিবাসী মানুষ সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সাঁওতাল বিদ্রোহের দিনটিতে শামিল হয়ে একসঙ্গে পালন করেন তারজন্য রাজ্য নেতৃত্বের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। কয়েক দিন আগেও জেলা তৃণমূলের একটি বৈঠকে হুল দিবসে যাতে সকলে শামিল হয় তার জন্য প্রতিটি ব্লকে মিছিল করতে দলের নেতা,কর্মীদের বলা হয়েছিল। তার সাথে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে একযোগে মিছিল করার কথা বলা হয়েছিল। রবিবার দলের নির্দেশের পর নয়াগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উজ্বল দত্তের নেতৃত্বে কয়েক হাজার এলাকার মানুষকে নিয়ে নয়াগ্রাম বাজার থেকে নয়াগ্রাম থানা পর্যন্ত একটি পদযাত্রা হয়। হুল দিবসের অনুষ্ঠানে শামিল হওয়া এবং পেট্রোল-ডিজেলের প্রতিবাদে এই পদযাত্রা হয়েছিল।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

উল্লেখ্য ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে এবার ঝাড়গ্রাম জেলায় দুটি স্থলে রাজ্যস্তরীয় হুল দিবসের অনুষ্ঠান হবে। মূল অনুষ্ঠানটি হবে ঝাড়গ্রাম শহরে, অন্য অনুষ্ঠানটি হবে জেলার সাঁকারাইল ব্লকে। এবার হুল দিবসের অনুষ্ঠান দুটিকে বিগত বছরের তুলনায় আরো ভালো ভাবে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি অনুষ্ঠান হলেও দলকে নির্দেশ দেওয়া আছে জঙ্গলমহলের জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষকে সামিল করা। আর তার জন্য প্রতিটি ব্লকে মিছিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সর্ব-সাধারনের মধ্যে অনুষ্ঠানের প্রচারের কথা বলা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে এবারও ৩০ শে জুন থেকে মোট তিন দিনের অনুষ্ঠান হবে। ঝাড়গ্রামে হুল দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা আছে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এদিন হুল দিবেসের মিছিল প্রসঙ্গে উজ্বল দত্ত বলেন, আমরা এদিন হুল দিবসের অনুষ্ঠান যাতে সফলভাবে পালিত হয় তার জন্য এবং পেট্রোল-ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কয়েক হাজার মানুষকে নিয়ে পদযাত্রা করেছি। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করছেন জঙ্গলমহলের সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলে বেশ চাপে শাসকদল, তাই এখনো এই জেলার মানুষ যে শাসকদলের পাশে আছে এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এখানে ভালো ফল হবে তা দেখাতে মরিয়া শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্ত্ব। তাই, জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের প্রাণের উৎসব, আবেগের উৎসবকে এবার অন্যমাত্রায় নিয়ে যেতে মরিয়া তারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!