এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসায় হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ! তীব্র শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে!

হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসায় হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ! তীব্র শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ভারতের রাজনীতিতে কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপির একটি বিরাট প্রতিপক্ষ হল পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বারবার খড়গহস্ত হতে দেখা গেছে রাজ্যের শাসক দলকে। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যের শাসকদলেরই জনৈক সাংসদ ও সেই সঙ্গে টলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা দেবের মুখে আশ্চর্যভাবে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসাবার্তা।

প্রসঙ্গত, অল্প কিছুদিন আগেই দেব তাঁর একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাম মন্দির ও প্রধানমন্ত্রীকে বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন । তিনি জানিয়েছিলেন রাম মন্দিরের ভূমি পূজার দিনে অযোধ্যায় কতটা সোশ্যাল ডিসটেন্স মানা হয়েছে তা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করছেন । আর তাঁর এই ইন্টারভিউ দেবার পরই তাঁর প্রধানমন্ত্রী ও রামমন্দির নিয়ে বক্তব্যের জন্যে বারবার ট্রোলে পড়েন তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নামে ব্যঙ্গ বিদ্রুপের পরিপেক্ষিতে জনৈক সাংবাদিকের ফেসবুক পেজে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন দেব।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনিপরের ঘাটালে তাঁর কাকার বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছানো নিয়ে কিছুদিন আগে দেব বিশেষ বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সাক্ষাৎকারে জানালেন, ঘাটালের মানুষ যদি খেতে না পায় তার জন্যে তিনিই দায়ী আবার কেউ যদি আর্ত মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেন  তাকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানাবেন তিনিই। এর সঙ্গেই পরিষ্কারভাবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাজনৈতিক নেতাদের পারস্পরিক কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি তিনি একদম পছন্দ করেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই সাক্ষাৎকারে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, বহু রাজনীতিবিদ বিপক্ষ দলের ব্যর্থতা, অপশাসনের পরিপ্রেক্ষিতে নিজের ভোট চেয়ে থাকেন। কিন্তু এই পন্থা তাঁর না পসন্দ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “অনেকই বলেন ওঁরা ওটা করতে পারেনি.. ওঁরা ৩৫ বছরে ওটা করতে পারেননি, .. আর সেই জন্যই তো আপনাকে (সংশ্লিষ্ট নেতা) নিয়ে এসেছি , ওই দল করতে পারেনি বলেই তো আপনাকে নিয়ে আসা হয়েছে। ওরা কী করেছের থেকেও দামী তুমি ৫ বছরে কী করেছ…. আমার এটা মনে হয় ।” এ বিষয়ে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, নিজের রিপোর্ট কার্ড ভুলে তিনি রাজনীতি বা জনসেবাতে বিশ্বাসী। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেছেন, “মানুষ আর ধর্ম রাজনীতি এসবের মধ্যে পড়তে চায়না।'”

অন্যদিকে রাম মন্দির নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে দেবকে বহুবার ট্রোল হতে হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই বিতর্ক ধামাচাপা দিতে তিনি বললেন, “প্রধানমন্ত্রীকে আমার সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে উনি অন্যতম শক্তিশালী নেতা। ওনার ফ্যান ফলোইং প্রচুর…।” এই সাক্ষাৎকারে তিনি আরো জানিয়েছেন যে, রাম মন্দির নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে গেলে তিনি সপরিবারে মন্দির পরিদর্শনে যাবেন।

এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিমত মক্কা-মদিনা ভ্যাটিকান প্রভৃতি যদি থাকতে পারে তবে রাম মন্দিরের থাকতে অসুবিধা কোথায়? তিনি আরো জানিয়েছেন, লকডাউন এর প্রথমদিকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে বাতি জ্বালিয়েছিলেন ও সেইসঙ্গে ঘন্টাও বাজিয়ে ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট সংসদের মুখে প্রধানমন্ত্রীর গুনগান শুনে বিস্মিত রাজনৈতিকমহল। যা নিয়ে বাড়ছে শোরগোল ও জল্পনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!