এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ >  গোষ্ঠী কোন্দলের জের, সংগঠনে বদল চেয়েও থামতে হল হেভিওয়েট মন্ত্রীকে

 গোষ্ঠী কোন্দলের জের, সংগঠনে বদল চেয়েও থামতে হল হেভিওয়েট মন্ত্রীকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনকে সামনে রেখে একদিকে স্বচ্ছ মুখ এবং অন্যদিকে সেই মুখকে সামনে এনে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে দুর্নীতিকে বন্ধ করবার জন্য দলের নেতাদের শোকজ করে বার্তা দিতে চাইলেও, গোষ্ঠী কোন্দল এখন তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামনেই ফালাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হওয়ার কথা। আর তার জন্যই শুক্রবার ফালাকাটায় একটি বিশেষ কর্মীসভা করেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন যে, এখন দলে আর কোনো দুর্নীতি চলবে না। যারা দলের নাম করে ভাঙিয়ে খাচ্ছেন, তাদের সরিয়ে নতুন মুখ আনতে হবে। এদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই বার্তা দেওয়ার কিছু সময় পেরোতে না পেরোতেই, ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বদল নিয়ে তৃণমূল বনাম তৃণমূল যুব কংগ্রেসের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল।

জানা গেছে, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে এই ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে চরম বিবাদ শুরু হয়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সুরেশ লালাই সভাপতি হবেন। অন্যদিকে যুব তৃণমূলের তরফে সভাপতি করার জন্য সঞ্জয় দাসূর নাম দাবি করা হয়। আর এরপরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দ্বন্দ্ব কমাতে দুই নেতাকে আড়াই বছর করে সভাপতির দায়িত্ব সামলাতে দেওয়া হবে‌। আর তারই অঙ্গ হিসেবে প্রথমে তৃণমূলের তরফে দাবি ওঠা সুরেশ লালাকে সভাপতি করা হয়।

জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত সুরেশবাবু আড়াই বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু তার আগেই এবার যুব তৃনমূলের পক্ষ থেকে সঞ্জয় দাসকে সভাপতি করানোর দাবি উঠেছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার ফালাকাটায় জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই ব্যাপারে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতৃত্বরা একটি স্মারকলিপি জমা দেন। আর এতেই রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরমহল।

দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সভাপতি হওয়ার ব্যাপারটি ঠিক থাকলেও কেন যুব তৃনমূলের নেতারা এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে এই ব্যাপারে তাদের নাম নিয়ে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। আর গোটা বিষয়ে যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে, তাতে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

অনেকে বলছেন, তৃণমূল এখন দুর্নীতিকে আটকাতে দলকে শুদ্ধিকরণ করছে। কিন্তু তাদের দলের নেতারা যেভাবে পদ দখলকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু করেছে, তাতে এবার এই দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে না পারলে, আসছে দিন অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। বর্তমানে তিনি পদে থাকলেও, যেভাবে তাকে সরাতে যুব তৃনমূলের নেতারা মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিলেন, তাতে পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে? এদিন এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুরেশ লালা বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তাই কিছু বলব না।”

অন্যদিকে যাকে শিখন্ডী করে তৃণমূল যুবর পক্ষ থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে, সেই সঞ্জয় দাস বলেন, “সভাপতি পদে সুরেশ লালার আড়াই বছর থাকার কথা‌। সেই জন্যই হয়ত দলের ছাত্র-যুবরা পর্যবেক্ষকের কাছে আমার স্বপক্ষে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।” কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে দল শৃংখলাবদ্ধ কবে কি করে! তৃণমূল না হয় দুর্নীতিকে আটকাচ্ছে। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে বারবার করে বলা হচ্ছে, কোনো গোষ্ঠী কোন্দল বরদাস্ত করা হবে না‌। সেক্ষেত্রে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়ে যাওয়ার পরেও, যেভাবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপত পদ নিয়ে তৃণমূল বনাম যুবর গন্ডগোল প্রকাশ্যে এল, তাতে কি‌ দল আরও অস্বস্তিতে পড়বে?

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “দলের অভ্যন্তরে কি হচ্ছে, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলব না।” তবে জেলা সভাপতি সংবাদমাধ্যমের কাছে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও, এই সমস্যার সমাধান না করলে যে তাকে ভবিষ্যতে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হবে, তা তিনি ভালই জানেন। তাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ নিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের যুব সংগঠনের সদস্যরা স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই সমস্যার সমাধান করতে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!