শুধু নীচুতলায় নয়, ভাবমূর্তি উদ্ধারে এবার উপরতলাতেও শুরু নাড়াচাড়া, বাড়ছে জল্পনা! কলকাতা রাজ্য June 28, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে রাজ্যের শাসকদলের অন্দরমহলে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া চলছে। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই দলের ভাবমূর্তি গড়তে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বর্তমানে তৃণমূলের নীচুতলা থেকে উপরতলা, সর্বত্র কড়া নজরদারিতে রয়েছেন তৃণমূল নেতারা। কারও বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ পেলেই তাকে শোকজ করা হচ্ছে দলের তরফে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলার অনেক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে শোকজের চিঠি ধরানো হয়েছে। বাদ যাননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়ও। আসানসোলেও বেশকিছু তৃণমূল নেতাকে ইতিমধ্যে শোকজ করা হয়েছে বলে খবর। যার মধ্যে রয়েছেন আসানসোলে ডেপুটি মেয়র তবসসুম আরা, কাউন্সিলর বেবি খাতুন এবং শংকর চক্রবর্তী। এছাড়াও তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা বলে পরিচিত প্রভাত চট্টোপাধ্যায়কেও শোকজ করার খবর পাওয়া গেছে। অর্থ্যাৎ, এথেকে সমস্ত হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে দলের পক্ষ থেকে শোকজ করায় একটা জিনিস পরিষ্কার যে, তৃণমূল এখন আর দুর্নীতিকে আটকাতে কোনোরকম বিলম্ব করবে না। ইতিমধ্যেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে ভয়াবহ দুর্যোগের ত্রাণ বিলি নিয়ে তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করা হচ্ছে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, তৃণমূলের সর্বস্তরে দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। এমনকি বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষ সেই দুর্নীতিকে প্রত্যক্ষ করে অনেক তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি পর্যন্ত ঘেরাও করেছেন। দুর্নীতি করার জন্য প্রকাশ্যে কান ধরে ক্ষমা চাইতে হয়েছে তৃণমূলের এক নেতাকে। আর এই পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে যাতে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে দলের কোনো নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার আগেই তৃণমূল ব্যবস্থা নিতে পারে, তার জন্য এবার ওপরতলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত সমস্ত নেতাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে উদ্যোগী হচ্ছে শাসক দল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের মালদহ, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার একাধিক তৃণমূল নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। অন্যদিকে বাকুড়ায় তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়, পার্থপ্রতিম সিংহ এবং তালডাংরা ব্লক যুব তৃনমূলের সভাপতি তাপস সুরকে শোকজ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা এক প্রকার নিশ্চিত যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই তৃণমূল তাদের দলে এই শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে যেভাবে ওপর তলাতেও এবার শুদ্ধিকরণের অঙ্গ হিসেবে ডানা ছাটার প্রক্রিয়া শুরু হল, তাতে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা এখন আতঙ্কে রয়েছেন। প্রত্যেকেই চেষ্টা করছেন, দুর্নীতিকে বন্ধ করে স্বচ্ছভাবে কাজ করতে। কারন কখন কার ঘাড়ে কোন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোপ পড়বে, তা কেউ জানেন না। তাই সকলে এখন কিছুটা হলেও সাবধানী। তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অবশ্য তৃণমূলের এই উদ্যোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেন, “আমপানের ক্ষতিপূরণে যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল সরকার জানাক।” অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে দুর্নীতিকে বন্ধ করতে একাধিক নেতার ডানা ছাটা হলেও, ভয়াবহ দুর্যোগে যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কি ব্যবস্থা নিল! সেই প্রশ্ন করে পাল্টা তৃণমূলের প্রশাসনকে চাপে ফেলে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। সব মিলিয়ে তৃণমূলের এই শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া এখন কতটা অব্যাহত থাকে, কোন কোন নেতার ডানা ছাটা পড়ে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -