এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > জনতাকে নিয়ে হিম্মত দেখালেন বিজেপি সাংসদ, চোখে সর্ষেফুল দেখছে মমতা পুলিশ!

জনতাকে নিয়ে হিম্মত দেখালেন বিজেপি সাংসদ, চোখে সর্ষেফুল দেখছে মমতা পুলিশ!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সব সময় পুলিশ দিয়ে যে জনতার দাবি এবং বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা যায় না, তা প্রমাণ হয়ে গেল রাজ্যের বুকে। বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে কর্মী সমর্থক, সকলকেই মিথ্যে মামলা দিয়ে জেলে পুড়িয়ে মুখ বন্ধ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার। কিন্তু মানুষ যদি সাথে থাকে, তাহলে পুলিশের ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। গৃহহীন সাধারণ মানুষকে নিয়ে জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিলেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। আর তা সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেল পুলিশ প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, মহানন্দার ভাঙনের জেরে রতুয়ার বেশ কিছু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তারা কোথায় থাকবেন, সেই মাথার ছাতটুকু পাচ্ছেন না। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো নজর নেই তাদের প্রতি। আবার এই প্রশাসন নাকি বলে, তারা সাধারণ মানুষের সরকার! স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা নিয়েই সমস্ত গৃহহীন মানুষকে সাথে করে জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। যেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সাধারণ মানুষের দাবি তুলে ধরে প্রমাণ করে দেন যে, যতক্ষণ না জেলাশাসক তার সঙ্গে কথা বলবেন, ততক্ষণ এই ধর্না চলবে।

বিরোধীদের দাবি, পুলিশ দিয়ে সব সময় কণ্ঠরোধ করা যায় না। তা এই ঘটনায় আবার প্রমাণিত। স্পষ্ট হয়ে গেল যে, মানুষ সাথে থাকলে এবং মানুষের দাবি ন্যায্য হলে প্রশাসন তাকে থামিয়ে রাখতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হয়তো প্রশাসনের এই দাবিকে মান্যতা নাই দিতে পারেন। কিন্তু বিরোধী জনপ্রতিনিধি হিসেবে যে দায়িত্ব রয়েছে মানুষের দাবি প্রশাসনের কাছে তুলে ধরার, তা প্রমাণ করে দিলেন খগেনবাবু। আর যে পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কথায় ওঠে এবং বসে, সেই পুলিশেরও এদিন কার্যত হিমশিম অবস্থা হওয়ার যোগার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুলিশের নিরপেক্ষতা আজ কার্যত প্রশ্নের মুখে। আর আবার তা প্রমাণ হয়ে গেল। এদিনের এই ঘটনায় যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি সাংসদ জেলা শাসকের সঙ্গে এই গৃহহীন মানুষদের মাথায় ছাদ দেওয়ার জন্য কথা বলার দাবি টুকু নিয়ে এসেছেন। সেখানেও পুলিশ বাধা দিচ্ছে। অর্থাৎ মানুষকে কার্যত সর্বশ্রান্ত করার মূলে এই পুলিশ প্রশাসন। তৃণমূল সরকারের কথা শুনতে গিয়ে আজকে তারা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। নিজেরা ডিএ পায় না, তবুও সরকারের দাস হয়ে সাধারণ মানুষকে অপমান করছেন। তবে এত মানুষ বিজেপি সাংসদের সঙ্গে থাকার কারণে এবং তাদের দাবি ন্যায্য হওয়ায় ঢোক গিলতে হয়েছে পুলিশবাবুদেরও। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!