এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নির্লজ্জতা! স্পেনে গিয়েও হিরো সাজতে চাইছেন মমতা! শেষমেষ এই বিষয়েও ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা?

নির্লজ্জতা! স্পেনে গিয়েও হিরো সাজতে চাইছেন মমতা! শেষমেষ এই বিষয়েও ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা?


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলার মাটিতে যখন একের পর এক বিভ্রান্তিকর কথা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হচ্ছেন, তখন বিদেশে গিয়েও আবার ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে ঘটনায় তার বিন্দুমাত্র অবদান নেই, সেই ঘটনায় বরাবরই নিজের অবদান রাখতে সব চেষ্টা করেন তৃণমূল নেত্রী। আর তার এই প্রবণতা নিয়ে মাঝেমধ্যেই কটাক্ষ করে বিরোধীরা। কিন্তু তবুও প্রতিটি বিষয়ে তার ঢোকা চাই। তা না হলে অন্য কেউ ক্রেডিট নিয়ে নেবে, তাই বিশ্বের যা কিছু হচ্ছে, সব ব্যাপারেই মন্তব্য করা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যত স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এবার বিদেশের মাটি থেকে তিনি দাবি করলেন, সম্প্রতি ভারতবর্ষের পক্ষ থেকে যে চন্দ্রযান অভিযান সফল হয়েছে, সেখানে সবথেকে বেশি অবদান রয়েছে বাঙালির। এ কথা সত্য যে, হ্যাঁ, বাঙালি বিজ্ঞানীদের অবদান অনস্বীকার্য। তাকে আমরা সকলেই স্যালুট করি তবে এখানেই একটি প্রশ্ন তুলছেন একাংশ।

তারা বলছেন, এই সমস্ত বাঙালি বিজ্ঞানীদের গর্ব করার মত কোনো অধিকার কি পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর রয়েছে? তিনি কি ভাবছেন, এই সমস্ত কথা বলে বিদেশের মাটিতেও হিরো হতে পারবেন! যদি তিনি এই সম্ভাবনা নিয়ে বাঙালি বিজ্ঞানীদের সফল অভিযানকে সামনে তুলে ধরে নিজে বড় হতে চান, তাহলে তিনি এখনও যথেষ্ট অপরিপক্ক। কেননা কিছুদিন আগেই চন্দ্রযান অভিযান নিয়ে কখনও ইন্দিরা গান্ধী, কখনও রাকেশ রোশনকে জড়িয়ে তিনি যে সমস্ত কথা বলেছেন, তা গোটা বিশ্বে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

প্রবাসী বাঙালিরাও হয়তো তা দেখেছেন। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে থাকেন, তার এই ধরনের জাহির করার প্রবণতা ধরে ফেলেছে বিশ্ববাসী। চন্দ্রযানকে সফল করার জন্য বাঙ্গালীদের অবদান রয়েছে। কিন্তু বাংলাকে সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি কি অবদান রেখেছেন! এই প্রশ্ন এখন উঠছে। ফলে বাংলার উন্নয়নের তালিকা দিতে না পেরে স্পেনের মাটিতে গিয়ে বাঙালি বিজ্ঞানীদের অবদানের কথা বলে কোনো রকমে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

বিরোধীদের কটাক্ষ, কতটা নির্লজ্জ হলে একজন মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের কথা বলতে পারেন! সব জায়গায় তাকেই হিরো সাজতে হবে। তিনিই সেরা সেরা, এটা বলতে হবে সকলকে। পশ্চিমবঙ্গটাকে তো লাটে তুলে দিয়ে বিদেশে ঘুরতে গিয়েছেন। বাংলার বেকাররা কাঁদছে, ডিএ আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বসে ধরনা দিচ্ছে, সেদিকে তার মনোযোগ নেই। তাই অন্য কোনো তথ্য দিতে না পেরে শেষ পর্যন্ত বাঙালি বিজ্ঞানীদের অবদানের কথা তুলে ধরে বিশ্বের কাছে মন জয় করার চেষ্টা বাংলার নেত্রী। এমন একটা ভাব যেন তিনিই বাঙালি বিজ্ঞানীদের যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই বাঙালির বিজ্ঞানীরা কাজ করে সফলতা এনেছেন। তারা পরিশ্রম করে, তারা খাটনি করে সফলতা এনেছেন, আর সেই চন্দ্রযান অভিযান নিয়ে যা ইচ্ছে তাই বক্তব্য দিয়ে মানুষের হাসির খোরাক হয়েছেন এই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কটাক্ষ করে দাবি বিরোধী শিবিরের।

অনেকে বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রবাসী বাঙালিরা বাংলার পরিণতি দেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, বাংলাকে রক্ষা করুন। অর্থাৎ তারা এই তৃণমূল সরকারের শাসন আর প্রবাসের মাটি থেকেও সহ্য করতে পারছেন না। ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ভাবেন, সফল সফল বাঙালি বিজ্ঞানীদের অবদান দিয়ে নিজের দোষ ত্রুটি গুলোকে বিদেশের মাটিতে ঢেকে রাখার চেষ্টা করবেন, তাহলে তিনি ভুল করছেন। বিদেশের মানুষ তাকে খুব ভালো করে চিনে গিয়েছেন। তাই কোনভাবেই বাংলার নেত্রী আর চিড়ে ভেজাতে পারবেন না। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!