অনুব্রত-গড়ে বসেই তাঁকে তুলোধোনা কৈলাসের! পাল্টা “মাল” বলে বেসামাল আক্রমণ দিদির “কেষ্টার”! মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য December 19, 2019 প্রায় বিভিন্ন সময়ই বিরোধীদের ধমক-চমক দেওয়ার দিক থেকে শিরোনামে উঠে আসতে দেখা যায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। কখনো চরাম চরাম ঢাকের কথা, আবার কখনও বা গুড় বাতাসার কথা বলে পরোক্ষে তিনি বিরোধীদের হুমকি দিচ্ছেন বলে দাবি করেন বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতিতে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাও আবার অন্য কোনোখানে নয়, একেবারে অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে বসেই সেই অনুব্রত মণ্ডলকে একহাত নিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা। সূত্রের খবর, বুধবার বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধিদলের মুর্শিদাবাদ যাওয়ার কথা ছিল। আর তার আগে বীরভুমের বোলপুরে একটি লজে উপস্থিত হন তারা। আর সেখানেই বীরভূম জেলা বিজেপি নেতা কর্মীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। যেখানে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করে বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেও, এখানে অনেক জায়গা রয়েছে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী আলাদা। যেমন বীরভূম, এখানকার মুখ্যমন্ত্রী অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এসপির চেয়ারে বসে থাকেন। থানাতে নির্দেশ দেন। ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ করার নির্দেশ দেন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - শুধু তাই নয়, এদিনের এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা সম্পর্কেও প্রশ্ন তোলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন 2019 নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যে যা হয়েছে, তার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গে 400 কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতি হয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ তা হাত গুটিয়ে দেখছিল।” এদিকে তার গড়ে বসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় তাকে কটাক্ষ করবেন, আর তিনি কোনো জবাব দেবেন না তা কি হয়! আর তাইতো বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গীয় অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করতেই পাল্টা অনুব্রত মণ্ডলের তরফে ধেয়ে এল কটাক্ষ। এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে “মাল” বলে অভিহিত করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “উনি বোকা বলেই এই কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলে জেলায় কোনো পদ নেই। মুখ্যমন্ত্রী হতে গেলে আগে এমএলএ হতে হয়। উনি ইউপির না কোথাকার মাল জানি না। এসপি হতে গেলে আগে আইপিএস হতে হয়। এই বিষয়গুলি বোধহয় ওনার জানা নেই। একেবারে বোকা।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনুব্রত মণ্ডলের দাপট বীরভূমে কারোরই অজানা নয়। আর সেই অনুব্রত মণ্ডলের জেলাতে গিয়ে তাকে কটাক্ষ করে কৈলাশ বিজয়বর্গী শোরগোল তুললেন। পাল্টা বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতাকে “বোকা” বলে কটাক্ষ করে রাজ্য রাজনীতিতে শাসক-বিরোধী তরজাকে বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল। আপনার মতামত জানান -