মুকুল ফিরতেই মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে যাওয়া হেভিওয়েট নেতাকে শোকজ শীর্ষ নেতৃত্বের,বাড়ছে জল্পনা কলকাতা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 12, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের একসময়ের শক্তশালী নেতা সব্যসাচী দত্ত গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়ের হাত ধরে। তিনি এবারের নির্বাচনে বিধায়ক সুজিত বোসের বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে লড়াই করেছেন এবং হেরেছেন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত বড়সড় হার হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। আর এই হারের তদন্ত চালাতেই সম্প্রতি হেস্টিংসের বিজেপি অফিসে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা। বৈঠকে বিজেপির হারের পেছনে প্রত্যেকে নিজের নিজের মতামত দিয়েছেন। তবে সবথেকে চাঞ্চল্যকর মতামত দিয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। এদিকে সব্যসাচী দত্তকে আজ করা হয়েছে শোকজ, ফলে চাঞ্চল্য তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতিতে। বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ না থাকা নিয়ে সমালোচকরা ক্রমাগত বলে গিয়েছেন একসময়। আর সেই একই কথা গেরুয়া শিবিরের বৈঠকে বললেন সব্যসাচী দত্ত। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হওয়ার অন্যতম কারণ মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে কোন পরিচিত মুখ না থাকা। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সমালোচনা চালিয়েছেন। তাঁরা যেভাবে এ রাজ্যে ভোট প্রচার চালিয়েছেন তা যে রাজ্যের মানুষ ভালোভাবে নেয়নি সেকথাও বলেন তিনি। যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁকে মাঝপথে থামিয়ে দেন সময় বেশী সময় নেওয়ার কারণে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন সব্যসাচী দত্ত। এখানেই শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের নতুন বিতর্ক।বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের মতে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন এই বিজেপি নেতা। প্রসঙ্গত হেস্টিংসের বৈঠকেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ একটি শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি তৈরি করেছেন। যে কমিটি রাজ্যের অন্যান্য নেতাদের কার্যবিধির ওপর নজর রাখবে বলেই জানা গেছে। এই কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার, রথীন্দ্রনাথ বসুর মতো নেতারা। সূত্রের খবর, এই শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সব্যসাচী দত্তকে শোকজ করা হয়েছে। তবে সব্যসাচী দত্ত তাঁর কথাই এখনো পর্যন্ত ধরে রেখেছেন। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকদের সামনে বলেন, রাজ্য বিজেপির সংগঠনের কোথাও না কোথাও ফাঁক রয়ে গিয়েছে, যার ফল ভুগতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। প্রসঙ্গত মুকুল রায়ের হাত ধরে সব্যসাচী দত্ত বিজেপিতে প্রবেশ করেন। এদিকে কার্যত গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ভরিয়ে আজ মুকুল রায় যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক মহলের একটাই প্রশ্ন, তাহলে কি এবার অনুগামী নেতা হিসাবে সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে ফেরার পালা মুকুল রায়ের হাত ধরে? পাশাপাশি নজর থাকবে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে সব্যসাচী দত্তর বিরুদ্ধে যে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ উঠেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আপনার মতামত জানান -