এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চওড়া হাসি নিয়ে ঘরওয়াপসি মুকুলের, মমতা-মুকুল পাশাপাশি, সঙ্গে অভিষেকও, বিজেপির শেষের শুরু?

চওড়া হাসি নিয়ে ঘরওয়াপসি মুকুলের, মমতা-মুকুল পাশাপাশি, সঙ্গে অভিষেকও, বিজেপির শেষের শুরু?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জল্পনা ক্রমশ বাস্তব রূপ পেল। অর্থাৎ মুকুল রায় তৃণমূল এলেন। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে ব্যাপক গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল দলের মধ্যে ভাঙন তৈরি হচ্ছে বলে। শেষ পর্যন্ত সেই ভাঙনের সূত্রপাত হলো মুকুল রায়ের হাত ধরে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কার্যত 2017 সালে মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। আর ঠিক চার বছর পর মুকুলের ঘরওয়াপসি। আজকে বেলা গড়াতেই বোঝা যায় মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। তিনি তৃণমূল ভবনে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে বৈঠক করেন এবং তারপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়কে পাশে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

প্রসঙ্গত মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কখনোই সেভাবে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা যায়নি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বরং একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু ও মুকুলের তুলনায় মুকুল যে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গুডবুকে, সে কথা স্পষ্ট হয়েছে। আর সেই সূত্রেই মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার জায়গা পেলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, মুকুলকে ফেরানো হলেও গদ্দার যারা তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁদের কিন্তু দল আর ফেরত নেবেনা। মনে করা হচ্ছে এক্ষেত্রে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেই ইঙ্গিত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, মুকুল রায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই গেরুয়া শিবিরে নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিলেন এমনকি বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তরে দাঁড়িয়ে বিধায়ক পদে জয়লাভ করেও তিনি বিশেষ কিছুই বলেননি। আর তারপর বোঝাই গেল গেরুয়া শিবির তাঁদের একটি বিধায়ক হারিয়ে ফেললেন। আপাতত মুকুল রায় তৃণমূলে কোন পদ পাবেন তা আলোচনা সাপেক্ষে প্রকাশ পাবে বলে জানান তৃণমূল নেত্রী। প্রসঙ্গত রাজনীতির কারবারীরা মনে করছেন, যেভাবে তৃণমূল ছাড়ার পর বারবার দলকে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, পাশাপাশি দলনেত্রীর বিরুদ্ধে অসম্মানজনক ভাষার প্রয়োগ করেছেন তাতে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত অসন্তুষ্ট তা প্রকাশ পাচ্ছে।

এমনকি ইয়াশ দুর্যোগ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীকে পাশে রাখার দরুণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বৈঠক বয়কট করেন। তবে সম্প্রতি বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা সৌগত রায় যেভাবে নরমপন্থী এবং চরমপন্থী বার্তা দিয়েছিলেন, সেই কথাই এবার শোনা গেল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গলাতেও। আপাতত মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে এসে নতুন করে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সাংগঠনিক লড়াইকে আরও পোক্ত করেন কিভাবে, সেটাই দেখার। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপি এই ধাক্কা সামলাতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেদিকেও থাকবে নজর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!