এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতা দো-আঁশলা রাজনীতি প্রকাশ্যে! ইন্ডিয়া জোটের হাতে ধরা খেলেন মুখ্যমন্ত্রী!

মমতা দো-আঁশলা রাজনীতি প্রকাশ্যে! ইন্ডিয়া জোটের হাতে ধরা খেলেন মুখ্যমন্ত্রী!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তিনি নাকি সব থেকে বেশি বিজেপি বিরোধী! দু চোখের বিষ বিজেপি তার কাছে। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক যে মঞ্চ ইন্ডিয়া জোট গড়ে উঠেছে, সেখানে নেতৃত্ব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন বুঝিয়েছিলেন, তার মত বিজেপি বিরোধিতা আর কারও মধ্যে নেই। কিন্তু তিনি শ্যাম এবং কূল দুই রক্ষা করতে গিয়ে এবার সেই ইন্ডিয়া জোটের কাছেই ধরা পড়ে গেলেন। ইন্ডিয়া জোটের মধ্যেই থাকা অনেক নেতা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সঙ্গে সেটিংয়ের রাজনীতি করছেন না তো! দিল্লিতে চলা জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে নৈশ ভোজের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগদানের চিত্র দেখে নানা মহল থেকে এরকম প্রশ্ন উঠে আসতে শুরু করেছে।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে জি- ২০ সম্মেলনের নৈশভোজে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আশ্চর্যজনকভাবে তিনি যে টেবিলে বসেছিলেন, সেই একই টেবিলে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর সে নিয়েই প্রশ্ন তুলে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তার প্রশ্ন, কেন মুখ্যমন্ত্রী একদিন আগে দিল্লি গিয়েছেন! আর কেনই বা তিনি যোগ দিয়েছেন এই জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে! অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর যে ইন্ডিয়া জোটে থাকা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না, তা স্পষ্ট।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কতই না অভিযোগ। এমন অনেক সময় গিয়েছে, যখন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দিল্লির অনেক অনুষ্ঠানে পর্যন্ত যাননি  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে অনুষ্ঠানে রাজ্যের স্বার্থে তার যাওয়া উচিত ছিল, সেই রকম অনেক জায়গায় তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ফলে জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে প্রশাসনিক দিক থেকে তিনি যোগদান করেছেন ঠিকই। হয়ত বা সেখানে অধীর চৌধুরীর প্রশ্ন তোলা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু যখন বিজেপির বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া একটি মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তখন সেখানে তার যোগদান সেই জোটে থাকা অন্যান্যদের মধ্যে তার সম্পর্কে অবিশ্বাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করবে। অন্তত তেমনটাই বলছেন একাংশ।

অনেকে এটাও বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব ভালো করেই জানেন, এই বিরোধী জোটে থাকা সিপিএম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে বাংলায় তাকে লড়াই করতে হচ্ছে। ফলে জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে অমিত শাহের সঙ্গে এক টেবিলে বসে নৈশভোজ কি সেই বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে থাকা বাম এবং কংগ্রেসের নেতাদের মধ্যে তার সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দেওয়ার মত বিষয় হলো না?পর্যবেক্ষকদের মতে, ইন্ডিয়া জোট এভাবেই ধীরে ধীরে ভাঙতে শুরু করবে। কারণ যে যাই বলুক না কেন, সেই জোটে থাকা অনেক দলের সঙ্গেই অনেক দলের মতাদর্শগত পার্থক্য রয়েছে। অনেকের সঙ্গেই অনেকের মিল মহব্বত সম্ভব সম্ভব হবে না। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে যোগদান এবং নৈশভোজ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অধীর চৌধুরী।

ফলে সেই প্রশ্ন ভবিষ্যতে আরও প্রকট হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো রেগে সেই জোট থেকে বেরিয়ে প্রথম ভাঙ্গন ধরাতে পারেন। তাই তৃণমূল নেত্রীর এই দিল্লি সফরের পেছনে বিজেপির সঙ্গে তার গোপন সেটিং রয়েছে কিনা? ইন্ডিয়া জোটে থেকেও তিনি তলায় তলায় বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করে দিলেন অধীর চৌধুরী। যার জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দো-আঁশলা রাজনীতি ধরা পড়ে গেল ,অন্তত তেমনটাই বলছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!