এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ঠ্যালার নাম বাবাজি! মন্ত্রী বাবুলের করুন পরিনতি, চূড়ান্ত অসম্মান তৃনমূল কর্মীদের!

ঠ্যালার নাম বাবাজি! মন্ত্রী বাবুলের করুন পরিনতি, চূড়ান্ত অসম্মান তৃনমূল কর্মীদের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-একেই হয়তো বলে, ঠেলার নাম বাবাজি। বিজেপিতে থাকার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন, বেশ ভালোই সম্মান পাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই সম্মান সহ্য হলো না তার। যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এখন তৃণমূলের বিধায়ক হয়ে রাজ্যের মন্ত্রী। কিন্তু এমন মন্ত্রী তিনি যে, তার দলের কর্মীরাই তাকে সম্মান দেন না! নিজের বিধানসভায় বৈঠক করতে গেলে কখনও কর্মীদের গো ব্যাক স্লোগান, আবার কখনও বা কালো পতাকা দেখতে হয় তাকে। ফলে দলবদল করা বর্তমান তৃণমূলের মন্ত্রীর অবস্থা যে ভবিষ্যতে আরও করুন হতে পারে, সেই ব্যাপারে তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, বিজেপি ছেড়ে অনেকদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। তবে এখনও তাকে দলের একদম নিচু তলার কর্মীরা যে মেনে নিতে পারছেন না, তা প্রতি পদে পদে প্রমাণ হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে তিনি একটি বৈঠক করতে গিয়েছিলেন নিজের বিধানসভায়। আর সেখানেই তাকে চূড়ান্ত অসম্মানিত হতে হয়েছে দলীয় কর্মীদের কাছে। গো ব্যাক স্লোগান এবং কালো পতাকা দেখানো হয়েছে তাকে। ফলে মন্ত্রী হয়েও নিজের দলের কর্মীদের কাছে এই সম্মান না পেয়ে রীতিমত বিরক্ত বাবুলবাবু। আর সেই বিষয়টি নিয়েই এদিন তাকে খোঁচা দিয়েছেন তার প্রাক্তন দল বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বাবুল সুপ্রিয়র যন্ত্রণাকে বাড়িয়ে দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলে গিয়ে কি করুন পরিণতি হচ্ছে তার। নিজের কর্মীদের কাছেও তিনি সম্মান পাচ্ছেন না।

একাংশ বলছেন, বাবুল সুপ্রিয় যে তৃণমূলে যোগ দিয়ে এখন খুব একটা খুশি রয়েছেন, তাও কিন্তু নয়। এখন তিনি বুঝতে পারছেন, ঠ্যালার নাম বাবাজি। বিজেপিতে থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে ভালোই ক্ষমতা উপভোগ করছিলেন। কিন্তু তার আরও কিছু চাই। তাই রাজ্যের শাসকের সঙ্গে থাকতে তিনি নির্লজ্জ রাজনীতি করে বসলেন। কিন্তু এখন যে তার থেকেও করুন পরিণতি বাবুলবাবুর! প্রতি পদে পদে কর্মীদের অসম্মানের মুখে পড়ে রীতিমত বিরক্ত তিনি। অন্যদিকে তার কাজেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অসন্তুষ্ট বলে একটি সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে। খুব দ্রুত রাজ্য মন্ত্রিসভার রদ বদলে বাবুল সুপ্রিয়র ভবিষ্যৎ কি হবে, তা নিয়েও জল্পনা চলছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দলবদল করা নেতাদের ভবিষ্যৎ খুব একটা ভালো হয় না। বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে যারা ক্ষমতা পাওয়ার জন্য দলবদল করেন, তারা হয়তো নিজের স্বার্থ কিছুদিনের জন্য সুরক্ষিত রাখতে পারেন। কিন্তু কর্মীদের মনে তাদের কোনো সম্মানের জায়গা থাকে না। যে বাবুল সুপ্রিয় কথায় কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতেন, তুলোধনা করতেন তৃণমূল কংগ্রেসকে, সেই বাবুল সুপ্রিয়কে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় গলায় উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নিলেও, কর্মীরা কিন্তু তা মানতে পারছেন না। যার ফলে তাকে মাঝেমধ্যেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে।

তবে বাবুল সুপ্রিয় দিলীপ ঘোষের খোঁচার পর অবশ্য বড়াই করে বলছেন, বড় দলে এসব হয়েই থাকে। যা দেখে অনেকে বলছেন, তাহলে কি বাবুল সুপ্রিয় নিজের রাজনৈতিক সম্মানটুকুও বিসর্জন দিয়ে ফেলেছেন! অবশ্য তার কাছে এখন আর কিই বা করার আছে! কারণ বিজেপি তাকে আর নেবে না। ফলে তৃণমূলেই যে করে হোক, কর্মীদের বিক্ষোভ, কালো পতাকা, গো ব্যাক থাকা সত্ত্বেও এখানেই কোনোরকমে জায়গা করে নিয়ে তাকে বাকি রাজনৈতিক জীবনটা কাটিয়ে দিতে হবে, তা স্পষ্ট। যে কারণে এখন মুখ বাঁচাতে এই ধরনের কথা বলছেন রাজ্যের এই মন্ত্রী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!