এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর গায়ে হাত? ঘুম উড়লো মমতা ঘনিষ্ঠের! এবার মেরে দেখান, কত সাহস!

শুভেন্দুর গায়ে হাত? ঘুম উড়লো মমতা ঘনিষ্ঠের! এবার মেরে দেখান, কত সাহস!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সম্প্রতি একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মঞ্চে উঠে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে মারবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, যিনি সোমনাথবাবুর দলের নেত্রীকে হারিয়েছেন, তাকে নাকি মঞ্চে উঠে মারবেন তিনি। এটা কি তৃণমূলের ঔদ্ধত্য , নাকি এটাই সংস্কৃতি! বর্তমানে রাজ্যে সোমনাথ বাবুর সেই হুশিয়ারি নিয়ে চর্চা চলছে। তবে এই কথাটা যে শুভেন্দুবাবুর কানে পৌঁছেছে এবং তিনিও যে শেষ দেখে ছাড়বেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন, যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে এই তৃণমূল বিধায়ক যে মারার হুমকিটা দিয়েছেন, সেটা তিনি করে দেখান! বাকিটা শুভেন্দু অধিকারী বুঝে নেবেন।

প্রসঙ্গত, ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “একজন তৃণমূল বিধায়ক আমাকে মঞ্চে উঠে মারার হুশিয়ার দিয়েছেন। যদি তার পিতৃ পরিচয় ঠিক থাকে, তাহলে তিনি এই কাজটা করে দেখান! আর আমি যদি মমতা ব্যানার্জিকে হারিয়ে থাকি, তাহলে ওর স্থান যেখানে হওয়ার, সেখানেই হবে।” অর্থাৎ এবার ময়দানে নেমে পড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। একটা মানুষ যিনি গণতন্ত্রের উপর আস্থা রেখে শাসকের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে কথা বলছেন, তাকে রাজনীতি করতে বাধা দেওয়া হবে, পুলিশ দিয়ে আটকে দেওয়া হবে, মিথ্যে মামলা দেওয়া হবে, তারপর আবার একজন জনপ্রতিনিধি যিনি বিধায়ক, তিনি সেই বিরোধী নেতাকে মঞ্চে উঠে মারার হুশিয়ারি দেবেন! এত বড় ক্ষমতা তিনি পান কোথা থেকে? কেন এখনও পর্যন্ত সেই বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবেন না তার দলের নেত্রী এবং রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! তাহলে কি এটা ধরে নিতে হবে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বিধায়কদের মধ্যে তথাকথিত গন্ডাদেরও রেখেছেন, যারা গণতন্ত্রের শপথ নিয়ে বিরোধী নেতাকে মারার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেন!

অনেকে বলছেন, একতরফা আক্রমণের দিন শেষ। শুভেন্দু অধিকারীও এবার পাল্টা আক্রমণ করে বুঝিয়ে দিলেন, যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে সেই বিধায়ক মেরে দেখান। অন্তত গায়ে হাতটা তুলে দেখান, তিনিও দেখবেন, তার কত বড় ক্ষমতা! কি পেয়েছে কি এই তৃণমূল সরকার? যা ইচ্ছে তারা তাই করে যাবে, আর সব সহ্য করতে হবে বিরোধী দল এবং রাজ্যের সাধারন মানুষকে! বিধায়ক মশাইয়ের জেনে রাখা উচিত, তিনি তো বিধায়ক। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা। বিরোধী দলনেতা শব্দের অর্থ, তিনি মন্ত্রী সমকক্ষ পদের মর্যাদা পান। তার সঙ্গে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাই তার গায়ে হাত তোলার আগে একশো বার চিন্তা করা উচিত। ভাটপাড়া স্বনামধন্য মমতা ব্যানার্জির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী কে মারবেন আর কেন্দ্রীয় বাহিনী মুখে ললিপপ চুষবে, এটা যদি তারা ভেবে থাকেন তাহলে হয়তো তৃণমূল ভারতবর্ষের গণতন্ত্র ও ভারতবর্ষের প্রশাসনিক ক্ষমতা সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত অনেক কিছুই জানে না।

সবটাই পশ্চিমবঙ্গের একুশে আইন নয়। এমনিতেই তো বিরোধী দলনেতাকে তারা সম্মান পর্যন্ত দেন না! কি করে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা যাবে, সেই চিন্তায় ঘুম পর্যন্ত হয় না তাদের নেত্রীর! তাই এখন তাকে মারার হুমকি দিয়ে যে নির্লজ্জ রাজনীতিটা তৃণমূলের বিধায়ক করে বসলেন, তাতে বেজায় চটেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনিও বুঝিয়ে দিলেন, মুখে বললে হবে না, এটা অন্তত করে দেখাক তৃণমূলের সেই বিধায়ক। তাহলেই বোঝা যাবে, তিনি বাপের ব্যাটা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজের নেত্রীর কাছে প্রাধান্য পেতে তৃণমূলের বিধায়ক, মন্ত্রীরা এখন যা পারছেন বলে যাচ্ছেন। আর সবার টার্গেট ওই শুভেন্দু অধিকারী। কারণ যে যত বেশি শুভেন্দুবাবুকে আক্রমণ করতে পারবেন, তিনি তত বেশি ভালো হয়ে উঠবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। কারণ, শুভেন্দু অধিকারী যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন, এটা যে বাংলার অগ্নিকন্যার সহ্য হচ্ছে না। তাই তার বিধায়ক শুভেন্দুবাবুকে মারার হুশিয়ারি দিয়েছেন, তাতে হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুশিতে আত্মহারা হয়ে গিয়েছেন। হয়ত এজন্য ভাটপাড়ার বিধায়ক বড় কোনো দায়িত্ব পেতে পারেন। তবে সোমনাথ শ্যামের ভবিষ্যৎ পরিণতি যে অত্যন্ত খারাপ হতে চলেছে, তা স্পষ্ট। গোটা ঘটনায় যে মাত্রায় ক্ষেপে উঠেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, তাতে তিনি যে চন্দ্রগুপ্তের ডায়েরিতে এইসব তথ্য লিখে রাখছেন এবং সময়মতো তার জবাব দেবেন, তাতে কার্যত একমত গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!