এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ক্ষেপে উঠেছে হিন্দুরা! মাথায় হাত মমতার ! বাংলা থেকেই উঠলো বড় আওয়াজ!

ক্ষেপে উঠেছে হিন্দুরা! মাথায় হাত মমতার ! বাংলা থেকেই উঠলো বড় আওয়াজ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। যদিও বা বিরোধীদের তোলা সেই অভিযোগকে বারবার খণ্ডন করে সরকারপক্ষ যুক্তি দিয়েছে, তারা সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের কথা ভাবে। কিন্তু সত্যিই কি তা ভাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! যদি তিনি তাই ভাববেন, তাহলে তার রাজ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের এত আধিক্য থাকা সত্ত্বেও, যে ইন্ডিয়া জোটে তিনি রয়েছেন, সেই ইন্ডিয়া জোটে থাকা এক নেতা সনাতনী ধর্মকে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ। ফলে এর বিরুদ্ধে নিজের রাজ্যের সনাতনীদের কথা ভেবে কেন চরম কোনো পদক্ষেপ নিলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী! তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

তবে সনাতনীদের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ভারতবর্ষে সেই সনাতনী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ডিএমকে নেতার এক মন্তব্যে রীতিমতো বাংলা থেকে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, ক্ষমা চাইতে হবে ডিএমকে নেতা উদয়নিধিকে। আবার অনেকে বলছেন, সনাতনীদের অস্তিত্ব সংকটের মুখে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাই নিজেদের অস্ত্র নিজেদেরকেই বেছে নিতে হবে হিন্দুদের। আর এখানেই প্রশ্ন, যদি ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে থাকা উদয়নিধির বিরুদ্ধে সনাতনীরা রাস্তায় নামে, তাহলে বাংলায় আগামী নির্বাচনে সনাতনীদের সমর্থন পাবেন তো সেই ইন্ডিয়া জোটে থাকা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

সূত্রের খবর, ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন পুত্র উদয়নিধির একটি মন্তব্য ঘিরে বর্তমানে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। যেখানে তিনি হিন্দু ধর্মকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে নানা বিরোধিতা শুরু হয়েছে। আর এবার সেই বিরোধিতার সুরকে সপ্তমে চড়িয়ে হিন্দু সমাজ যে নিজেদের ধর্মকে রক্ষা করতে এবার রাস্তায় নামবে, তার আভাস দিলেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, ডিএমকে হিন্দু বিরোধী দল। তাই তাদের নেতা এইরকম কথা বলেছে। তবে হিন্দুদের নিজেদের ধর্মকে রক্ষা করতে নিজেদেরই অস্ত্র খুঁজে নিতে হবে। আর বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্য বাংলার রাজনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

অনেকে প্রশ্ন করছেন, স্ট্যালিন পুত্র মন্তব্য করার কারণে কেন বাংলায় তার প্রভাব পড়বে! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। যে ইন্ডিয়া জোটে এই সনাতনীদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা উদয়নিধি রয়েছেন, সেই একই জোটে রয়েছেন বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও ভাবতে হবে যে, বাংলার সনাতনীদের অস্তিত্ব তিনি টিকিয়ে রাখতে চান! নাকি উদয়নিধির এই বক্তব্যের সঙ্গে তিনি সহমত পোষণ করছেন? তার কাছে ভোটের রাজনীতি আগে, নাকি ধর্ম! এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় চলে এসেছে। যে কারণে ডেঙ্গু , ম্যালেরিয়ার সঙ্গে হিন্দু ধর্মকে তুলনা করার পরেই রীতিমত ক্ষেপে উঠেছেন সনাতনীরা। বাংলা থেকেই যে আগামী দিনে সনাতনীদের এই আওয়াজ গোটা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করে ইন্ডিয়া জোটের চাপ আরও বাড়িয়ে দেবে, তাতে দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলায় এমনিতেই হিন্দুরা সুরক্ষিত নয় বলে বারবার দাবি ওঠে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করার অভিযোগ তুলে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায় হিন্দুবাদী সংগঠনগুলোকে। আর তার মাঝেই যে ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে, সেখান থেকেই এক নেতা সনাতনী ধর্ম সম্পর্কে অপমান সূচক মন্তব্য করেছেন। ফলে এই ইস্যু যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেও যাচ্ছে, তা স্পষ্ট বলেই মত একাংশের। যার ফলে অনেকে বলছেন, আগামী লোকসভা ভোটে এর মাশুল দিতে হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুধুমাত্র একটি সম্প্রদায়ের ভোট নিয়ে তিনি তো আর দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না! তাই আম এবং ছালা দুটোই যাবে। আর এর ফলেই মাথায় হাত পড়বে রাজ্যের শাসক দলের। দিনের শেষে তেমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!