এখন পড়ছেন
হোম > Uncategorized > রাজ্যপালকে বোকা বানানোর চেষ্টা? শেষমেষ হেরে গেলেন মমতা! গর্বিত বাংলা!

রাজ্যপালকে বোকা বানানোর চেষ্টা? শেষমেষ হেরে গেলেন মমতা! গর্বিত বাংলা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-জগদীপ ধনকর বিদায় নেওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। তবে তাকে হাতে রাখতে প্রথম থেকেই তার সঙ্গে বেশ সুসম্পর্ক বজায় রাখছিল রাজ্য সরকার। হাতেখড়ি দেওয়া থেকে শুরু করে রাজ্যের তরফে যেমন একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, ঠিক তেমনই রাজ্যপালের মন্তব্যের মধ্যে দিয়েও বোঝা যাচ্ছিল যে, এই রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পদক্ষেপে প্রচন্ড খুশি। কিন্তু সেসব দিন এখন অতীত। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মধ্যরাতে মুখ্যমন্ত্রী এবং দিল্লীকে একটি চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। যে চিঠির রহস্য উন্মোচন হয়নি। যার ফলে একটা জিনিস কষ্ট হচ্ছে যে, রাজ্যপালকে হাতে রাখতে প্রথম দিকে রাজ্য সরকার বহু চেষ্টা করলেও, রাজ্যপাল সেই পাতা ফাঁদে পা দেননি। বরঞ্চ নিজের মতো করে সব পর্যবেক্ষণ করেই তিনি একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আর তাতেই চাপে পড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী কড়া ভাষায় রাজ্যপালকে আক্রমণ করছেন। পাল্টা সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালও বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই লড়াই থেকে সরে আসবেন না। আর রাজ্যপালের এই সরকারের বিরুদ্ধে মনোভাব এবং নিজের মতো করে কাজ করার তাগিদ খুশি করছে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে রাজ্যের অনাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করা গণতন্ত্র প্রেমী সাধারণ মানুষদের। অন্তত তেমনটাই বলছেন পর্যবেক্ষকরা।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, প্রথম দিকে রাজ্যপালকে বোকা বানানোর অনেক চেষ্টা করেছে রাজ্য সরকার। হাতেখড়ি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যপাল তাতে পা না দিয়ে যে সমস্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাতে রাজ্যবাসী হিসেবে তিনি অত্যন্ত গর্বিত।

একাংশের যুক্তি, এমনিতেই বিরোধী দলের বিরুদ্ধে পুলিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে সরকারপক্ষ চাপে রাখার চেষ্টা করে। সেখানে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে যদি রাজ্যপাল সেই সরকারের দিকেই চলে যান, তাহলে তা বিরোধী থেকে শুরু করে সরকারের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছেন, তাদের কাছে অনেকটাই চাপের হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে সি ভি আনন্দ বোস দায়িত্ব নেওয়ার পর যেভাবে রাজ্যের একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে প্রশংসা করছিলেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুরে সুর মেলাতে শুরু করেছিলেন, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন স্বয়ং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি একাধিক বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সেই সময় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্যপালের পদক্ষেপে তিনি মোটেই খুশি নন।

রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের চক্রান্তে পা দিয়েছে। কিন্তু সেসব দিন এখন অতীত। রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের যে তিক্ততর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, তা ভবিষ্যতে আরও দীর্ঘায়িত এবং জটিল হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। অর্থাৎ রাজ্যপাল রাজ্যের সব নিয়ম মানতে রাজি নন। আর এই জটিলতায় যে বিরোধীরা খুশি, তা কিন্তু নয়। তারা খুশি একটা কারনেই যে, রাজ্যের অন্যায্য দাবি গুলো আর মানছেন না রাজ্যপাল। একতরফা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে যা করবে, সেটাই মেনে নিতে হবে, সেই দিন কিন্তু শেষ। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অন্তত সেটাই স্পষ্ট হচ্ছে।

অনেকে বলছেন, এখন তৃনমূল বলতেই পারে, বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন রাজ্যপাল। তবে রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন, তাহলে রাজ্যের শাসকদল হিসেবে আপনারা যে অন্যায্য কাজগুলো করছেন, সেগুলোকে ন্যায্য পথে নিয়ে এলেই তো আর কোনো সমস্যা থাকে না! কেন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্তই শেষ কথা হবে! কেন আচার্যকে মানবে না রাজ্য সরকার? আর সেখানে হস্তক্ষেপ করতে গেলেই রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট! আর যখন এই রাজ্যপাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় সাড়া দিয়ে হাতেখড়ি দিচ্ছিলেন, তখন তিনি না কতই ভালো ছিল রাজ্যের কাছে! কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছে বিরোধীরা। তবে দিনের শেষে রাজ্যবাসীর কাছে এটাই স্বস্তির কারণ যে, এই রাজ্যপাল অন্তত রাজ্যের সব কথায় সম্মতি দিচ্ছেন না। আচ্ছা মত টাইট দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। যে বিষয়ে কার্যত একমত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!