এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্য নয়, ভরসা রাজ্যপালই! ব্রাত্যর বৈঠক দেখে মুখ পুড়লো মমতার!

রাজ্য নয়, ভরসা রাজ্যপালই! ব্রাত্যর বৈঠক দেখে মুখ পুড়লো মমতার!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সেটাই বর্তমানে রাজ্য রাজনীতির অন্যতম চর্চিত ইস্যু। আর তার মাঝেই শুক্রবার শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টারকে নিয়ে একটি বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু সেখানেও প্রমাণ হয়ে গেল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভরসা করছে রাজভবনের ওপরেই। জানা গিয়েছে, 12 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার্ডরা এই বৈঠকে আসলেও, অনুপস্থিত ছিলেন 19 টি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার্ড। যা দেখে রীতিমত উদ্বিগ্ন শিক্ষা দপ্তর।

প্রসঙ্গত, আজ শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মূলত, রাজ্যের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাশ রাখতেই হয়ত এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সেখানেই দেখা যায়, 12 টি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টাররা উপস্থিত হয়েছেন। অনুপস্থিত ছিলেন প্রায় 19 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার। ফলে অনুপস্থিত থাকার সংখ্যা বেশি হওয়ায় বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে অনুপস্থিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারদের নোটিশ পাঠানো হতে পারে বলে খবর। তবে এত কিছু করেও কি নিজেদের হাতে সব ক্ষমতা নিয়ে আসতে পারবে রাজ্য!

একাংশের মতে, এদিনের এই বৈঠক রাজ্যের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে সেখানেও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতি প্রমাণ করে দিল যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধীরে ধীরে রাজ্যপালের ওপরে ভরসা রাখছে। রাজ্যপাল চেয়েছেন, শিক্ষা দপ্তরকে স্বচ্ছ এবং পরিচ্ছন্নভাবে পরিচালিত করতে। তবে রাজ্য সরকার চাইছে, নিজেদের ইচ্ছেমতো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে। আর তা নিয়ে দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, রাজ্যের হুমকি, হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও রাজ্যপাল জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই লড়াই শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবেন। ফলত ক্ষমতা, হুমকি, হুশিয়ারি যে শেষ কথা বলে না, তা এদিনের এই বৈঠকে অনুপস্থিতির হাত দেখেই টের পেয়ে গেল রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারদের নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর এই বৈঠকের দিকে নজর ছিল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীরও। কিন্তু হয়তো তিনি এই বৈঠকের নির্যাস নিয়ে অত্যন্ত হতাশ। ঘটা করে শিক্ষা দপ্তর বৈঠক করে ভেবেছিল, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষদের দিয়ে রাজ্যপালের নিয়মকে অমান্য করাবেন। নিজেদের মতো করে শিক্ষাঙ্গন, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পরিচালিত করবেন। তবে তাদের সেই আশা যে পূরণ হবে না, আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বচ্ছ এবং শিক্ষার গ্রহণযোগ্য পরিবেশ করে তুলতে যে মডেল দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী যে চলবে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়, তা স্পষ্ট। ফলে বৈঠক হলো। কিন্তু সেই বৈঠকে যে মুখ পুড়লো মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী এবং সর্বোপরি রাজ্য সরকারের, তাতে দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!