এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > রাজ্যকে লাইনে আনতে শেষমেষ হস্তক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের! এ লজ্জা কোথায় রাখবে বাঙালি?

রাজ্যকে লাইনে আনতে শেষমেষ হস্তক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের! এ লজ্জা কোথায় রাখবে বাঙালি?


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যে সংঘাত তৈরি হয়েছিল, শেষমেশ সেখানে হস্তক্ষেপ করেছে শীর্ষ আদালত। সকলেই অবগত রয়েছেন যে, আদালতের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকার, রাজ্যপাল এবং ইউজিসিকে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য তিন থেকে পাঁচটি নাম জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। আর যে কাজ রাজ্য সরকারের করা উচিত, সেখানে দেশের শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করায় লজ্জায় মুখ ঢাকছে বাঙালি। সরব হচ্ছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলে পরিচিত। আর সেই জায়গায় শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যে নির্লজ্জ রাজনীতি করেছে রাজ্য সরকার, তার জন্যই আজকে দেশের শীর্ষ আদালতকে এই বিষয়েও হস্তক্ষেপ করতে হলো।

প্রসঙ্গত, উপাচার্য নিয়ে যে ব্যাপক সংঘাত চলেছে, সেই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পরেই নানা মহল থেকে কটাক্ষ করা হচ্ছে রাজ্যকে। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সরব হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “এইরকম অপদার্থ, অকর্মন্য রাজ্য সরকার থাকলে তাই হবে। আজকে উপাচার্য নিয়োগের জন্য দেশের শীর্ষ আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হলো। প্রমাণ হয়ে গেল, এই সরকার কিছুই করতে পারে না।” বলা বাহুল্য, অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পাঠের উপযোগী করার চেষ্টা করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেখানে হস্তক্ষেপ করে রাজ্য সরকার ক্রমাগত সাংবিধানিক প্রধানকে একের পর এক আক্রমণ করে গিয়েছে।

তারা দাবি করেছে যে, যখন টাকা রাজ্য সরকার দেয়, তখন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্যেও তাদের কাছ থেকেই অনুমতি নিয়ে সব করতে হবে। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় এই উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে বড় জটিলতা তৈরি হয়। ইচ্ছে করলেই রাজ্য সরকার পরিস্থিতির সমাধান করতে পারত। কিন্তু তা না করে রাজভবনের সঙ্গে সংঘাত, ঝগড়ার পর অবশেষে নিজেদের ব্যর্থতার পরিচয় দিল নবান্ন। তেমনটাই বলছেন একাংশ। অনেকে এটাও বলছেন, অধীর চৌধুরী তো বিজেপি বিরোধী সব থেকে বড় যে রাজনৈতিক দল, সেই কংগ্রেসের নেতা। এই কংগ্রেসের সঙ্গেই আবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে আটকাতে জোটে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল। কিন্তু তারপরেও অধীরবাবুর মতো নেতারা তৃণমূলকে সমর্থন করছেন না। পশ্চিমবঙ্গে বারবার তৃণমূলের অপদার্থতা নিয়ে তারা সোচ্চার হচ্ছেন। আর এবার উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পর সেই রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাই যে সব থেকে বেশি পরিমাণে দায়ী, তা স্পষ্ট করলেন অধীর চৌধুরী। আর কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্য যে বিজেপি বিরোধী রাজনীতি করতে গিয়ে তৃণমূলকে আরও গাড্ডায় ফেলে দিল, তাতে দ্বিমত নেই কারও মধ্যেই |

পর্যবেক্ষকদের মতে, অধীর চৌধুরীর বক্তব্য একদিক থেকে অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। সত্যিই তো তাই। কেন এই ব্যাপারেও সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হবে? কেন নিজেদের হাতে ক্ষমতা রাখার জন্য নির্লজ্জ প্রয়াস করবে রাজ্য সরকার? এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও যদি রাজ্য সরকার সামাল দিতে না পারে, তাহলে তারা তো সব দিক থেকে ব্যর্থ। আর দেশের শীর্ষ আদালতের এই হস্তক্ষেপ সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গের মানকে দেশের মধ্যে কতটা নিচে নামিয়ে দিল, সেই ব্যাপারে কি কোনো চিন্তা এই তৃণমূল সরকারের রয়েছে? যদি থাকতো, তাহলে তারা অন্তত এই বিষয় নিয়েও নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য রাজভবনের সঙ্গে দড়ি টানাটানিতে নেমে পড়তেন না। দিনের শেষে তেমনটাই বলছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!