বাঁকুড়া কি ক্রমশ পদ্মময় হয়ে উঠছে? বিশেষ খবর রাজ্য November 22, 2017 ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যজুড়ে যখন পতপত করে উড়ছে ঘাসফুল পতাকা, তখন প্রায় গড় হয়ে ওঠা বাঁকুড়াতে ধাক্কা খায় তাদের বিজয়রথ। এমনকি ২০১৪ তে সিপিএমের কাছ থেকে বাঁকুড়া লোকসভা আসনটি তৃণমূল কংগ্রেস ছিনিয়ে নিলেও, বিজেপির সুভাষ সরকার ভালো লড়াই দিয়েছিলেন। আর ২০১৯ এ বিজেপি যেকটি লোকসভা আসন পাখির চোখ করছে তারমধ্যে এই বাঁকুড়া আসনটি একেবারে উপরের দিকেই আছে। আর বাঁকুড়ায় যে ক্রমশ পদ্ম ফুটছে তা বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি নেতাদের ঘনঘন সফরে। আর তারই ফলশ্রুতি হিসাবে গত রবিবার বিষ্ণুপুরের বেলিয়াতোড় এলাকার ধর্ম্মতলায় বিজেপির রাজ্যনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় এক সভা করেন। সেই সভায় তাঁর হাতধরে প্রায় ২৫০ জন সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। আর এই ‘সাফল্য’ বড়াই করে স্থানীয় নেতৃত্ত্ব বলছে কারণ এখানেই গত বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী সোহম চক্রবর্তী এবং যাকে বলে ‘কাঁটে কি টক্কর’ দিয়ে সেই আসন ছিনিয়ে নিয়েছিলেন কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সুজিত চক্রবর্তী। অর্থাৎ তৃণমূল ও বাম দুই শিবিরেরই ভালো রকম সমর্থক আছেন এই বিধানসভায়, কিন্তু সেখানে ওই দুই শিবির ছেড়ে তাঁরা এখন পারি জমাচ্ছেন পদ্মশিবিরে বলেই দাবী স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ত্বের। তবে এখানেই থেমে থাকতে রাজি নন তাঁরা, বরং তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকাতে জয়বাবু ও অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ত্ব সেদিন প্রকাশ সভামঞ্চ থেকে বাম কর্মী-সমর্থকদের তো বটেই, এমনকি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান স্বয়ং স্থানীয় বাম বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তীকেও এবং বিজেপি নেতৃত্ত্বের স্থির বিশ্বাস রাজ্যে পরিবর্তন ঘটাতে যত দিন যাবে এইভাবেই শাসক ও অন্য বিরোধী শিবির ছেড়ে মানুষ পদ্মফুলের আস্থা দেখাবেন। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ত্ব এই দলবদলকে গুরুত্ত্ব দিতেই নারাজ। আপনার মতামত জানান -