এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দিল্লিতেই কি ঠিক হয়ে গেল বাংলায় আক্রমনের অভিমুখ? বঙ্গ-বিজেপি নেতাদের ‘গিড়তা-বেঙ্গলের’ সুনামি!

দিল্লিতেই কি ঠিক হয়ে গেল বাংলায় আক্রমনের অভিমুখ? বঙ্গ-বিজেপি নেতাদের ‘গিড়তা-বেঙ্গলের’ সুনামি!


দিল্লিতে দুদিন ধরে বিজেপির ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠক ছিল – আর এই বৈঠকের দিকে গোটা দেশের মতোই অপার আগ্রহে তাকিয়ে ছিলেন বঙ্গের বিজেপির লক্ষ-লক্ষ নেতা-কর্মীরা। কেননা এই বৈঠকের আগেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়ায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ঝড় তুলতে বাংলায় বড়সড় সাংগঠনিক পরিবর্তন করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। এছাড়াও, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় রণকৌশল কি হতে চলেছে তা নিয়েও নীতি-নির্ধারণ হতে পারে এই বৈঠকে।

না, এই মুহূর্তে কোনো সাংগঠনিক পরিবর্তন হচ্ছে না বঙ্গ-বিজেপিতে, দিলীপ ঘোষকেই রাজ্য সভাপতি হিসাবে রেখে আগামী লোকসভা নির্বাচনে লড়বে বিজেপি। এই বছরের ডিসেম্বরেই তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে যাতে কোনো-প্রকার সাংগঠনিক অস্থিরতা তৈরী না হয় – তাই তাঁর মেয়াদ আরো বৃদ্ধি করা হল। তবে, সম্ভবত বাংলায় বিজেপির আক্রমনের রূপরেখা কি হবে তা ঠিক হয়ে গেল। কেননা হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে ‘গিড়তা-বেঙ্গলের’ সুনামি!

বঙ্গ-বিজেপি নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট থাকলেও এতদিন সেভাবে তাঁদের সেখানে ‘অ্যাক্টিভ’ দেখা যায় নি। ফেসবুকে তাও তাঁদের পোস্ট মাঝেসাঝে দেখা গেলেও, ট্যুইটারে তাঁদের গতিবিধি ছিল বেশ সীমিত। কিন্তু। দিল্লির বৈঠকের পর হঠাৎ করেই মুকুল রায় থেকে রাহুল সিনহা, লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে রিতেশ তিওয়ারি – সবাই একযোগে রাজ্যের বিভিন্ন ব্রিজ ভাঙা ও তাতে রাজ্য সরকারের নীল-সাদা রঙ করা নিয়ে সরব হয়েছেন। কেউ শুধুই তথ্য তুলে ধরে তৃণমূল সরকারকে আক্রমন করছেন তো কেউ আবার সরাসরি এর জন্য ‘সিন্ডিকেট-রাজকে’ দায়ী করে মমতা-সরকারকে উৎখাতের ডাক দিচ্ছেন। কিন্তু সবার পোস্টেই সেই ‘গিড়তা-বেঙ্গলের’ হ্যাশট্যাগ।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

নেতাদের পাশাপাশি পিছিয়ে নেই, গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরাও। তাঁরাও রাজ্যের শীর্ষনেতাদের পাশাপাশি ওই একই হ্যাশট্যাগে ট্যুইটার জুড়ে ঝড় তুলছেন। নেতাদের পোস্ট রি-ট্যুইট করছেন। আর তারফলেই, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা – দিল্লির বৈঠকেই অমিত শাহ ঠিক করে দিয়েছেন যে বাংলায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি ‘অল-আউট’ আক্রমনে যাবে। নাহলে, সব নেতার একযোগে প্রায় একই সময়ে একই বিষয়ে ঝড় তোলার মানে কি? কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্ব আক্রমনের ঝাঁঝ বাড়ানোর স্পষ্ট নির্দেশ দিতেই কি এইভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন রাজ্য নেতৃত্ত্ব? প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

তবে, বিজেপি নেতা-কর্মীরা ‘গিড়তা-বেঙ্গলের’ ঝড় তুললেও, জবাব দিতে পিছিয়ে নেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। কেউ, বিজেপি নেতাদের (বিশেষ করে মুকুল রায়কে) ব্যক্তিগত আক্রমন করছেন, তো কেউ রাজ্যের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরছেন। কেউ আবার, বারাণসী, দিল্লি, মুম্বাই-পুনে হাইওয়ে বা সূরাতে হওয়া ব্রিজ ভাঙার ছবি তুলে ধরে জানতে চাইছেন – সেসব নিয়ে বিজেপি নেতারা চুপ কেন? অর্থাৎ, বাংলার বাইরে বা বিজেপি শাসিত রাজ্যে ব্রিজ ভাঙলে কোনো অসুবিধা নেই আর বাংলায় ভাঙলেই – তা নিয়ে রাজনীতি কেন? সব মিলিয়ে দিল্লির বৈঠকের শেষেই ‘গিড়তা-বেঙ্গলের’ ‘ভার্চুয়াল-যুদ্ধ’ শুরু সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।

‘গিড়তা-বেঙ্গল’ নিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের ট্যুইট-আক্রমন।
‘গিড়তা-বেঙ্গল’ নিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার ট্যুইট-আক্রমন।
‘গিড়তা-বেঙ্গল’ নিয়ে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ট্যুইট-আক্রমন।
‘গিড়তা-বেঙ্গল’ নিয়ে বিজেপি নেতা রিতেশ তিওয়ারির ট্যুইট-আক্রমন।
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!