এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুল রায়ের বড় পদ পাওয়া আটকাতেই কি তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র? জল্পনা চরমে

মুকুল রায়ের বড় পদ পাওয়া আটকাতেই কি তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র? জল্পনা চরমে


একদা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অঘোষিত দুনম্বর নেতা মুকুল রায় গত ৩ রা নভেম্বর বিজেপিতে যোগদান করলেও এখনও সেরকম কোনো বড় পদ পান নি। সদ্য তিনি স্থান পেয়েছেন বিজেপির জাতীয় কমিটিতে, পেয়েছেন ‘ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ মেম্বারের’ স্ট্যাটাস – কিন্তু সেই অর্থে কোন বড় দলীয় পদ এখনো তাঁর জন্য বরাদ্দ করে নি বিজেপি।

তবে মুকুল রায় নিজেও যে পদের জন্য খুব একটা লালায়িত তা কিন্তু নয় – তিনি পদ পাওয়ার জন্য কোনো শীর্ষ নেতার কাছে হাতিয়ে দিয়ে পরে আছেন, এখনো পর্যন্ত – এই অভিযোগ তাঁর অতি বড় শত্রুও তাঁর বিরুদ্ধে করতে পারবে না। কোনো পদ না পেয়েও তিনি তাঁর মত সাংগঠনিক কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে অন্য জায়গায়। তাঁর অনুগামীরা যখন, অন্যদলের নেতাদের বিজেপিতে যোগদানের কথা বলতে যাচ্ছেন – তখন একটাই প্রশ্ন শুনে তাঁদের বিফল মনোরথ হয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে।

আর প্রশ্নটি নাকি বেশি তুলছেন বিশেষ করে যাঁরা নাকি তৃণমূল ছাড়তে উদগ্রীব! তাঁদের একটাই কথা, রাজনীতিতে সবাই নিজস্ব একটা ‘অ্যাম্বিশন’ নিয়ে থাকে। মুকুল রায়ের মত ‘বড় মাপের নেতা’ যদি এতোদিনেও বিজেপিতে গিয়ে পদ না পান – তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎটা কতটা সুরক্ষিত? প্রশ্নটা যে নেহাত ফেলনা নয় – তা নাকি অনুধাবন করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্বের শীর্ষ পদাধিকারিরা। আর তাই, আসন্ন ৭ ও ৮ তারিখ যে জাতীয় কমিটির বৈঠক হতে চলেছে – সেখানেই নাকি বড়সড় ‘সুখবর’ আসতে চলেছে মুকুলবাবুর অনুগামীদের জন্য।

কি সেই সুখবর? গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে দুটি সম্ভাবনার কথা। একদলের মত – মুকুল রায়ের জন্য বরাদ্দ হতে চলেছে জাতীয় সম্পাদকের পদ, আরেকদলের অভিমত – মুকুলবাবু নাকি একেবারে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হতে চলেছেন। কিন্তু যে পদই তিনি পান না কেন – একটা ব্যাপারে সবাই সহমত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের যে অ্যাসিড টেস্ট তাঁকে দেওয়া হয়েছিল – তাতে তিনি সসম্মানে উত্তীর্ন। আর তাই, তাঁকে পঞ্চায়েতের মতই লোকসভা নির্বাচনের সম্পূর্ণ দায়িত্ত্ব দেওয়া হতে চলেছে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু, এই খবরের পাশাপাশিই এবার উঠে এল – তাঁর এই পদ পাওয়া আটকাতে তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। আর এই নিয়ে রীতিমত ফুঁসছেন তাঁর অনুগামীরা। কারোর নাম কেউ নিতে না চাইলেও – আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিচ্ছেন অনেক হেভিওয়েটের নামই। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে মুকুলবাবুর ছেড়ে আসা প্রাক্তন দল, তেমনই রয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্বের মত ‘বিষাক্ত’ অভিযোগও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মুকুলবাবুর এক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অনুগামীর শিবিরের বক্তব্য, দাদার সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইয়ে না পেরে, ‘কুৎসা’ করতে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হল, দাদা নাকি তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছেন! তার থেকেও বড় কথা, যারা দাদার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করছে তারা এতটাই নেমে গেছে যে তাঁর পুত্রের শরীর খারাপ নিয়েও গুজব ছড়াতে ছাড়ছে না। গতকাল সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে পোস্ট হতে থাকে – মুকুল-বাবুর পুত্র নাকি আর নেই! মানুষের কতখানি নৈতিক অধঃপতন হলে এই ধরনের নোংরামি করতে পারে ভাবুন!

ওই শিবিরের আরো বক্তব্য, আর এই ধরনের নোংরামি যে একটি বিশেষ জায়গা থেকেই হচ্ছে, ওই পোস্টগুলির ভাষা দেখলেই বুঝতে পারবেন। ওই পোস্টে একটি সংস্কৃত শ্লোক ব্যবহৃত হয়েছে, সব জায়গাতেই তা এক। তফাৎ বলতে কোথাও শুধু ‘পুত্র’ কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে কোথাওবা পুত্রের জায়গায় তা ‘সুপুত্র’ হয়েছে! আসলে এইসব নোংরামি করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্বের কাছে একটা গুজব পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে যে – দাদা মানসিকভাবে ঠিক জায়গায় নেই। তাই বোধহয় তাঁকে বড় পদ দেওয়া ঠিক হবে না।

রগে ফুঁসতে থাকা ওই সকল মুকুল রায় অনুগামীদের আরো বক্তব্য, এইসব নোংরামি দেখে একটা কথাই মনে হচ্ছে – এই বাংলায় একজনই ‘নেতা’, বাকি সব ‘অভিনেতা’। মুকুল রায় পূর্ন স্বাধীনতায় নিজের রাজনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করতে শুরু করলে অনেক তাবড়-তাবড় নেতা ও রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ত্ব যে বিলুপ্ত হয়ে যাবে – এই ধরনের ঘৃণ্য কাজের মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাই এরা সবাই প্রমান করে দিচ্ছে। তবে এসব করে মুকুল রায়কে আটকানো যায় নি, ভবিষ্যতেও যাবে না। দাদাকে একবার পূর্ন স্বাধীনতায় দায়িত্ত্ব দিলেই দেখবেন – যে দলটির সংগঠন নিয়ে এত গর্ব, তাদের পাঁচিলের উপর বসে থাকা নেতারা কিরকম একে-একে লাইন লাগাচ্ছে এদিকে। দাদার হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মানচিত্রটা কিভাবে আগামীদিনে বদলে যাচ্ছে সেটা শুধু দেখতে থাকুন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!