আরেকটা কুনাল ঘোষ-মুকুল রায় ‘পালা’ অভিনীত হতে যাচ্ছে শাসকদলে? বিশেষ খবর রাজ্য February 22, 2018 দলবিরোধী কথাবার্তা ও কার্যকলাপের জন্য রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই তাদের রাজ্যসভার দুই হেভিওয়েট সাংসদ কুনাল ঘোষ ও মুকুল রায়কে দলথেকে বহিস্কার করেছে। মুকুল রায় যদিও তাঁকে বহিস্কার করার আগেই দলের সমস্ত পদ থেকে পদত্যাগ করেন ও পরবর্তীকালে বিজেপিতে যোগ দেন। কুনাল ঘোষ এখনো নিজেকে ‘দলের কঠিন সময়ের সৈনিক’ বলে দাবি করেন। আর এবার কুনাল ঘোষ বা মুকুল রায়ের ‘দশা’ হতে চলেছে বোলপুরের বিতর্কিত সাংসদ অনুপম হাজরার। বিভিন্ন সময়ে তিনি প্রকাশ্যে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন সব মন্তব্য করেছেন তাঁর দল অনুমোদন করে না বা তার জন্য দলকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। সম্প্রতি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতাজী ও গান্ধীজীকে নিয়ে, গান্ধীজীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে নিয়ে ও বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে একাধিক বিতর্কিত পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। সেই প্রসঙ্গে এতদিন চুপ থাকলেও এবার বিবৃতি দিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবু জানান, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন অনুপম হাজরা, আগে দল ছেড়ে তারপর তিনি যা খুশি বলুন। যাঁরা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন তাঁরা কখনই দলের সৈনিক হতে পারেন না। দলের প্রতীকে জিতে কেউ নিজের ইচ্ছা মতো চলতে পারে না। সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনুপম হাজরার সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুব কম সরাসরি সাংবাদিক বৈঠক করেন। দলের তরফে বক্তব্য রাখেন পার্থবাবুই। ফলের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা আসলে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদিত বক্তব্যই সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরেন পার্থবাবু। আর তাই, অনুপমবাবুর ক্ষেত্রেও তার কোনো ব্যতিক্রম হয়নি, প্রকারান্তরে পার্থবাবুর বক্তব্যের মাধ্যমে দলনেত্রীই অনুপমবাবুকে সংযত হতে বার্তা দিলেন, নাহলে আগামী দিনে হয়তো তাঁর অবস্থা কুনাল ঘোষ বা মুকুল রায়ের মতোই হতে পারে। আপনার মতামত জানান -