এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > আর শুধু প্রতিবাদ-প্রতিরোধ নয়! জঙ্গলমহলে শুভেন্দু অনুগামীদের নতুন পদক্ষেপ ঘিরে তীব্র জল্পনা

আর শুধু প্রতিবাদ-প্রতিরোধ নয়! জঙ্গলমহলে শুভেন্দু অনুগামীদের নতুন পদক্ষেপ ঘিরে তীব্র জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – “দাদাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হোক” সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি তুলে আসছেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা। কিছুদিন আগেই তৃনমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদ দেওয়া হবে বলেও তীব্র জল্পনা ছড়িয়েছিল। কিন্তু তেমন ভাবে শুভেন্দু বাবু কোনো পদ পাননি। উল্টে তাকে শুধুমাত্র দলের কোর কমিটির সদস্য রেখে যে সমস্ত জেলায় তিনি পর্যবেক্ষক ছিলেন, সেই সমস্ত জেলা থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোটকথা তৃণমূল তাদের দলে এতদিন পর্যবেক্ষক শব্দ রাখলেও, সাংগঠনিক বৈঠক থেকে তা তুলে নিয়েছে।

অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী যেহেতু বেশিরভাগ জেলার দায়িত্বে ছিলেন, তাই তাকে চাপে রাখতেই সেই পর্যবেক্ষক পদ তুলে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা যে থেমে থাকবেন না, এদিন তা স্পষ্ট হয়ে গেল। এতদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে সওয়াল করেছেন। কিন্তু এবার কার্যত ময়দানে নেমে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি নিয়ে মাধ্যমিকে কৃতি পড়ুয়ার বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলেন তার অনুগামীরা।

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে জামবনির গিধনি অঞ্চলের চারিচাকা গ্রামে মাধ্যমিকে কৃতি মন্দিরা মুর্মুর বাড়িতে উপস্থিত হন শুভেন্দুবাবুর অনুগামীরা। যেখানে প্রত্যেকের গলাতেই ঝোলানো ছিল শুভেন্দু অধিকারীর ছবি। কিন্তু এখনও তো তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী! সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র তার ছবি দিয়ে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে তার অনুগামীরা এই কাজ করলেন, অথচ সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো ছবি থাকল না! একাংশ বলছেন, জঙ্গলমহলের জেলাগুলোর মাথায় এখন আর শুভেন্দু অধিকারী নেই। কেননা পর্যবেক্ষক পদ তুলে দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে সেই সমস্ত জেলায় নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্যই অনুগামীদের দিয়ে মাধ্যমিকের কৃতি ছাত্রীর কাছে উপহার পৌঁছে দিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। অর্থাৎ তাকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলেও তিনি যে কোনো জেলা থেকেই তার প্রভাব এখনো সরাতে চাইছেন না, তা এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাহলে কি তিনি দলের বাইরে গিয়ে এখন নিজের মত করে সংগঠন করতে চাইছেন! আর তাই নিজের অনুগামীদের মাঠে নামিয়ে দিলেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে শুভেন্দুবাবুর অনুগামী স্নেহাশীষ ভকত, শান্তনু মাহাতো, সৌমেন আচার্য, সুমন দাস বলেন, “শুভেন্দুদা দলীয় দায়িত্বে থাকলেন কি থাকলেন না, সেটা বড় কথা নয়। জঙ্গলমহলে দাদার সামাজিক কাজ বহু আগে থেকে চলছে। জঙ্গলমহলের মানুষ ওকে বিশ্বাস করেন। ওকে জঙ্গলমহলের কুটুম নামে অনেকে ডাকেন। মানুষের সেই ভালোবাসার মর্যাদা দিতে শুভেন্দুবাবুর প্রতিনিধি হিসেবে আমরা সামাজিক কর্মসূচি পালন করছি।” এদিকে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীর তরফে পাঠানো সাহায্য পেয়ে খুশি মাধ্যমিকে কৃতি ছাত্রী মন্দিরা মুরমু। তবে এভাবে জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে সেই কৃতী ছাত্রীকে সাহায্য প্রদান করা হল, অথচ জেলা নেতৃত্ব কেন সেখানে উপস্থিত থাকলেন না?

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বীরবাহা সোরেন বলেন, “আমাদের দলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রীর নির্দেশে আমরা সবাই মানুষের কাজ করি। কর্মীরা কেউ নেত্রীর আদর্শে সামাজিক কাজ করতেই পারেন।” তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাপারটাকে যতটা সহজ ভাবে নেওয়া হচ্ছে, মোটেই তা ততটা সহজ নয়। কিন্তু দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার পরেও যেভাবে শুভেন্দুবাবু ময়দানে থাকছেন এবং তার অনুগামীদের ময়দানে নামাচ্ছেন, তাতে তৃণমূলের কিছুটা হলেও চিন্তা বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, শুভেন্দু অধিকারী এভাবেই দলে থেকে নিজের মত করে প্রভাব খাটাতে শুরু করেন, নাকি শেষ পর্যন্ত তিনি অন্য কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!