Big Breaking, নির্বাচন কমিশনকে আদালতের তিরস্কার! কি বক্তব্য বিজেপির বামফ্রন্ট রাজনীতি রাজ্য April 26, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় জানালেন, নির্বাচন কমিশনের আচরণে দায়িত্ববোধের অভাব ছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য একমাত্র নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এবার এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানালেন যে, আদালত যা বলে তা নির্দিষ্ট তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই বলে থাকে। তাই তিনি আদালতের অবমাননা না করেও বলতে চান যে, যেখানে সারা পৃথিবীর চিকিৎসক, বিজ্ঞানীরা নিয়ে করোনা চিন্তিত, সে জায়গায় দাঁড়িয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তা হতাশাজনক। তিনি জানালেন তামিলনাড়ুতে একদিনে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মহারাষ্ট্রে এখন কোনো নির্বাচন নেই, বিহারে, দিল্লিতে, ঝাড়খন্ড রাজ্যেও এখন কোনো নির্বাচন নেই। মাদ্রাজ হাইকোর্ট যে, রায় দিয়েছে তাকে বাংলায় টেনে আনছেন তৃণমূলের কিছু নেতা। তিনি জানালেন, রাজ্য সরকারের অপদার্থতার কারণে, সরকারি হসপিটালের পরিকাঠামো না থাকার কারণে, অবস্থা দিনকে দিন খারাপ হয়ে পড়ছে। সমস্ত কোয়ারেন্টাইন সেন্টার সরিয়ে ফেলা কারণে, সেফহোমে বন্ধ করে দেবার কারণে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়ছে। আর নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানালেন, মানুষের জন্য কোর্টের জন্ম হয়েছে, আইনের জন্ম হয়েছে, আইনের জন্য মানুষ জন্মায় নি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে আদালত যে রায় দিয়েছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি প্রশ্ন করেছেন, সারাবিশ্বে কি নির্বাচন চলছে? সারা বিশ্বে কি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ রাস্তায় ঘুরছেন? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি জানান, একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮ দফায় নির্বাচনের দাবি করেছিলেন। ২০১১ সালে মুকুল রায় নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে ৮ দফা নির্বাচন, পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে মানুষকে আতঙ্কিত করা হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়নি, বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়নি। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার কারণে মানুষ বাড়িতে অক্সিজেন জমা করছে। এ কারণে বাজারে অক্সিজেনের অভাব তৈরি হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, নির্বাচন যখন যখন শুরু হয়ে গেছে, তখন কি চাইছে তৃণমূল? নির্বাচন বন্ধ করে দিয়ে আরও দু বছর ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা করছে কি? যতদিন করোনা থাকবে ততদিন কি ক্ষমতায় থাকতে চাইবে তৃণমূল? ততদিন কি যথেচ্ছাচার করবে তৃণমূল? মানুষ বুঝতে পেরেছে বলে, আজ রাস্তায় নামছে মানুষ। মানুষ বুঝতে পেরেছে, তৃণমূল ও কিছু সংবাদমাধ্যম করোনার চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর, এ কারণেই মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। তিনি জানালেন, মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই রায় অত্যন্ত হতাশাজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। আর এই রায়কে পশ্চিমবঙ্গে টেনে আনা, আরো বেশি দুর্ভাগ্যজনক। আদালত এই রায় কেন দিয়েছে? তা তাঁর জানা নেই। এখানে তার প্রতিফলন ঘটানো আরো বেশি দুর্ভাগ্যজনক। এটা একটা চক্রান্ত। আপনার মতামত জানান -