এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > জেলে যাওয়ার পরেই নিকটাত্মীয়দের বিপদে ফেলে দিলেন দেবাঞ্জন, একঘরে পরিবারের দিন কাটানো নিয়ে সংশয়!

জেলে যাওয়ার পরেই নিকটাত্মীয়দের বিপদে ফেলে দিলেন দেবাঞ্জন, একঘরে পরিবারের দিন কাটানো নিয়ে সংশয়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেবাঞ্জন দেব গ্রেফতার হতেই রীতিমত একঘরে হয়ে গিয়েছে তার পরিবার। বাইরে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে গেলেই প্রতিবেশীদের বিদ্রূপের মুখে পড়তে হচ্ছে দেবাঞ্জন দেবের পরিবারের সদস্যদের। শুধু তাই নয়, পাড়ায় থাকতে না দেওয়ার হুমকিও পাচ্ছেন তারা। যার ফলে ছেলের এই ধরনের কাজের জন্য তাদের কেন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেই দেবাঞ্জন দেবের বাড়ির সদস্যরা। বস্তুত, কিছুদিন আগেই ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ডের রহস্য উন্মোচন হওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে আনন্দপুরের হোসেনপুর এলাকার বাসিন্দা দেবাঞ্জন দেবকে‌।

তবে তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তার পরিবার রীতিমত চ্যালেঞ্জের মুখে দিন কাটাচ্ছেন। বাবা-মা, স্ত্রী এবং 25 বছরের মেয়েকে প্রতিমুহূর্তে সাধারণ মানুষের টিপ্পনীর মুখে পড়তে হচ্ছে। পেতে হচ্ছে হুমকি। তাই এই পরিস্থিতিতে দেবাঞ্জনবাবু দোষ করলেও, তাদের কোনো দোষ না থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে এবং মানসিক চাপের মুখে ফেলা হচ্ছে, তা নিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তবে আগামী দিন যাপন যে তাদের পক্ষে খুব একটা সহজ হবে না, সেই ব্যাপারে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের পরিবারের সদস্যদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।

 

এদিন এই প্রসঙ্গে দেবাঞ্জনবাবুর মা বন্দনাদেবী বলেন, “ছেলে ঠিক কি করেছে, জানি না। কিন্তু ছেলে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই দেখছি, সকলের নজর আমাদের বাড়ির দিকে। বাড়ি থেকে বেরোবো, তার উপায় নেই। যখনই বাড়ির বাইরে পা দিয়েছি পাড়াপড়শির বিদ্রুপ শুনতে হয়েছে। ছেলেকে যেদিন ধরে নিয়ে গেল, তার পরেরদিন বাড়ির পরিচারিকারা কাজে এসেছিল। কিন্তু তারপর থেকে তাদের আর কোনো দেখা নেই। হয়ত আসতে চাইছিল। কিন্তু পারিপার্শ্বিক চাপে পিছিয়ে গিয়েছে। বাড়িতে যেটুকু চালডাল ছিল, গত কয়েক দিন সেই দিয়েই চলেছে। এরপর থেকে যে কি হবে, জানি না।”

এদিকে দেবাঞ্জনবাবুর বাবার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। কিন্তু তার চিকিৎসার জন্য ডাক্তার ডাকা হলেও সেই চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। অর্থাৎ ভুযো ভ্যাকসিন কাণ্ডে ছেলে গ্রেফতার হওয়ার পর তার প্রভাব যে সরাসরি বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ওপর পড়েছে, তা বলাই যায়। কিন্তু ছেলে দোষ করলেও তার পরিবারের সদস্যরা তো কোনো দোষ করেনি! এক্ষেত্রে কেন তাদের উপর এভাবে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদিন এই প্রসঙ্গে দেবাঞ্জনবাবুর বোন বলেন, “নিজের চেষ্টায় তিনবার পরীক্ষা দিয়ে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পেয়েছি‌। এই সবের জন্য যদি সেই চাকরি হারাতে হয়, তাহলে কি করব জানি না। দাদার জন্য যতটা না খারাপ লাগছে, তার থেকে অনেক গুন বেশি খারাপ লাগছে পরিবারের এখনকার এই অবস্থার জন্য।” তবে গোটা ঘটনাকে “দুর্ভাগ্যজনক” বলেই আখ্যা দিতে দেখা গেছে দেবাঞ্জনবাবুর পারিবারিক আইনজীবিকে। এদিন এই প্রসঙ্গে আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “কোর্টে আইনি লড়াই চলবে। কিন্তু তার মধ্যে আদালতের বাইরে এমন পরিস্থিতি যে কতটা মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তা এদের দেখলেই বোঝা যায়। এদের নিজেদের মত করে বাঁচতে দেওয়া হোক।”

একাংশের মতে, দেবাঞ্জনবাবুর পাড়ার সদস্যরা রীতিমত এই ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনাটি কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। তাই দেবাঞ্জনবাবু গ্রেপ্তার হওয়ার পর সরাসরি তার প্রভাব পড়েছে তার পরিবারের সদস্যদের ওপর। প্রতিমুহূর্তে পাড়াপড়শিদের কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে তাদের। পাশাপাশি পাড়াপড়শির সমালোচনা থেকে বাঁচতে রীতিমত বাইরে কর্মস্থলে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় জায়গায় যেতে পারছে না দেবাঞ্জন দেবের পরিবারের সদস্যরা। যার ফলে রীতিমত তাদের দিন কাটানো দায় হয়ে গিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন থেকে শুরু করে আদালত দেবাঞ্জন দেবের জন্য যে শাস্তিই বরাদ্দ করুক না কেন, তার পরিবারকে এই মানসিক নির্যাতন থেকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন বলেই আবেদন দেবাঞ্জন দেবের পরিবারের সদস্যদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!