প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, রাজ্য মন্ত্রিসভার একাধিক দপ্তরের দায়িত্বে থাকতে দেখা গেছে তাকে। তবে সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যুক্ত হবেন, এটা স্বপ্নেও কেউ কল্পনা করতে পারেনি। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে তিনি যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে।

অমিত শাহের হাত ধরে নতুন রাজনৈতিক দলে নাম লিখিয়ে প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে নানা সময় সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বর্তমানে তিনি ডোমজুড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। আর এবার ডোমজুড়ে গিয়ে নিজের প্রাক্তন সৈনিক তথা বর্তমান প্রতিপক্ষকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, এদিন ডোমজুড়ে নির্বাচনী সভায় উপস্থিত হন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, “ক্ষমা চাইছি, আগে এখানে একজনকে নমিনেশন দিয়েছিলাম। সেই গদ্দার জনগণের টাকা মেরে নিয়েছে। ও প্রথমে ছিল সেচ দপ্তরে। সেচ দপ্তরে থাকাকালীন বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ পেয়েছি। তারপরে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টে দিলাম। আমায় কি বলেছিল জানেন! বলেছিল, আমাকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে দিন। তার মানে অনেক বেশি টাকা মারা যাবে। আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। বুঝতে পারিনি। দেখতে লম্বা চওড়া, ফর্সা কি করে বুঝব! ওর ভেতরে এসব আছে! এত গদ্দারি লুকিয়ে আছে!” আর এক সময়কার সতীর্থ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেভাবে আক্রমণ করলেন স্বয়ং তৃনমূল নেত্রী, তাতে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তম নেতা ছিলেন। রাজ্য মন্ত্রীসভার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি‌। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলেও তার গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়ে একাধিক জেলার পর্যবেক্ষক করিয়েছিলেন।

কিন্তু সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যাওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের চাপ অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আর এই পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক ডোমজুড়ে সভা করে তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে রীতিমত শোরগোল তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।