এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > হুইল চেয়ারে ভোটের প্রচার, বিজেপি নেতৃত্বের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

হুইল চেয়ারে ভোটের প্রচার, বিজেপি নেতৃত্বের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ১০ ই মার্চ ভোটের প্রচারে নন্দীগ্রামে গিয়ে পায়ে আঘাত লেগেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এরপর হুইল চেয়ারে বসে নির্বাচনী প্রচার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, করছেন জনসভা। এবার হুইল চেয়ারে বসে ভোটের প্রচারকেই তীব্র কটাক্ষ বিজেপি নেতৃত্বের। নন্দীগ্রামের ঘটনাকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বারবার সংঘর্ষ বা চক্রান্ত বলে দাবি করা হলেও, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই ঘটনা কোনো সংঘর্ষ বা চক্রান্ত নয়, এটি একটি দুর্ঘটনা। এরপরেই বারবার বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ইস্যুতেই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী।

আজ খড়্গপুরের সভামঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, ৫ বছর আগে যখন প্রধানমন্ত্রী খড়্গপুরে এসেছিলেন, তখন বিধানসভাতে জায়গা পেতে লড়াই করতে হয়েছিল বিজেপিকে। কিন্তু আজ নবান্ন দখলের লড়াই করছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চান না তিনি। তাঁর উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী এসে দেখে যেতে পারেন যে, কত হাজার লোক প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে এসেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী নিজের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না, তাই পা দেখাচ্ছেন। রাজ্য সরকার এখন হুইলচেয়ারে। রাজ্যের মানুষকে কাজের জন্য যেতে হচ্ছে বাইরে, মহিলারা নিরাপত্তা পাচ্ছেন না, স্কুলে পড়াশোনার কোন ব্যবস্থা নেই, শিল্পকে রাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ন্যানো আসতে পারেনি। যে নন্দীগ্রাম তাঁকে নবান্নতে পাঠিয়েছিল, এবার সেই নন্দীগ্রামই তাঁকে কালীঘাটে অবসরে পাঠাবে।

অন্যদিকে, নন্দীগ্রামে ভোটের প্রচারে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, জোড়হাত করে নমস্কার করার বদলে, পা দেখিয়ে ভোট চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় সিপিএমের মালিনী ভট্টাচার্যের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজেই তিনি অপরাজেয় নন, এবারও তিনি পরাজিত হবেন।

শুভেন্দু অধিকারী আরও জানান যে, এবার নির্বাচনের বুথে দিদির পুলিশ থাকবে না, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। বুথের সুরক্ষা মজবুত করতে হবে ভালো করে, যাতে এবারে ভোট লুঠ না হয়। তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে আহত করা হয়েছে। একথা বলে নন্দীগ্রামের মানুষকেই অপমান করা হয়েছে। তিনি কটাক্ষ করেছেন, নির্বাচনের আগে সকল প্রার্থীরা জোড়হাত করে নমস্কার জানিয়ে প্রচার করছেন, আর মুখ্যমন্ত্রী ভোট চাইছেন পা দেখিয়ে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!